এবি কিট ট্যাবলেট ২০০ মিগ্রা+২০০ মাইক্রোগ্রাম

এবি কিট ট্যাবলেট হলো রেনাটা পিএলসি প্রস্তুতকৃত একটি যুগ্ম ঔষধ, যাতে রয়েছে মিফেপ্রিস্টোন + মিসোপ্রোস্টল (২০০ মিগ্রা + ২০০ মাইক্রোগ্রাম)। প্রতি ইউনিটের দাম ৳৩০০ এই ট্যাবলেট গর্ভধারণের প্রথম ৯ সপ্তাহ (৬৩ দিন) মধ্যে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশিত।

এটি প্রজেস্টেরন রিসেপ্টর ব্লক করে এবং জরায়ুর সংকোচন সৃষ্টির মাধ্যমে কাজ করে। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তিনটি ভিজিটে সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

• গর্ভকালীন বয়স আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিশ্চিত করতে হবে
• অতিরিক্ত রক্তপাত হলে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন
• ১০-১৪ দিন পর ফলোআপ ভিজিট বাধ্যতামূলক

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ও তলপেটে ব্যথা। গর্ভাবস্থার টিস্যু সম্পূর্ণ বের না হলে সার্জিক্যাল হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হতে পারে। ঔষধ সেবনের পর ২ সপ্তাহ যৌনসংসর্গ এড়িয়ে চলতে হবে।

এই জরায়ু সক্রিয়কারী ঔষধ শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ব্যবহারযোগ্য। গর্ভাবস্থা পরবর্তী সময়ে পুনরায় গর্ভধারণ প্রতিরোধে কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রথম দিন ২০০ মিগ্রা মিফেপ্রিস্টোন মুখে সেবন। ২৪-৪৮ ঘন্টা পর ৪টি মিসোপ্রোস্টল (মোট ৮০০ মাইক্রোগ্রাম) বুকাল/সাবলিঙ্গুয়াল ব্যবহার। ১০-১৪ দিন পর ফলো-আপে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। স্থূল রোগীদের জন্য মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন হয় না।

মিফেপ্রিস্টোন: যােনিপথের রক্তক্ষরণ (ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং) এবং জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটায়। সাধারণত মিফেপ্রিস্টোন ব্যবহারে যে সমস্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলাে হলােঃ বমিবমি ভাব, বমি, ডায়ারিয়া, পেলভিক পেইন, অজ্ঞান হওয়া, মাথা ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব ও দুর্বলতা।

মিসোপ্রোস্টল: পরিপাকতন্ত্রীয় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, বদহজম, মাথাব্যথা, বমি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। এছাড়াও কাঁপুনি, হাইপার থারমিয়া, খুম খুম ভাব, জরায়ুর সংকোচনের ফলে ব্যাথা, তব্র রক্তপাত, শক্‌, পেলভিক পেইন ও ইউটেরাইন রাপচার হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র অনুমোদিত ইঙ্গিতে ব্যবহারযোগ্য। স্তন্যদানকালে মিসোপ্রোস্টল এড়ানো উচিত – শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে। মিফেপ্রিস্টোন সেবনের ৫-৭ দিন স্তন্যপান বন্ধ রাখার পরামর্শ।

জরায়ুর কুণ্ডলী (আইইউডি) থাকলে অপসারণ প্রয়োজন। ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ধূমপায়ীদের জরায়ু ছিদ্রের ঝুঁকি বেশি। চিকিৎসা শেষে কার্যকরী গর্ভনিরোধ পদ্ধতি শুরু করুন।

লিভার রোগীদের মিসোপ্রোস্টল কম মাত্রায় দিন। কিডনি রোগে মিসোপ্রোস্টল ডোজ পরিবর্তন লাগে না। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অপ্রযোজ্য।

মিফেপ্রিস্টোন: মাসিক নিয়মিতকরণের জন্য ৬০০ মি.গ্রা. এর ৩ গুণ বেশী মাত্রায় মিফেপ্রিস্টোন গর্ভবতী নয় এমন মহিলাদের দিয়ে তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যদি কোন রােগী মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে তবে তার ক্ষেত্রে অ্যাড্রেনাল ফেইলিওর এর লক্ষণসমূহ দেখা যায়

মিসোপ্রোস্টল: মাত্রাতিরিক্ত মিসোপ্রোস্টল সেবনের ফলে সাধারণত যে সমস্ত লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলাে হলােঃ সুম ঘুম ভাব, কাঁপুনি, খিচুনী, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, নিম্ন রক্তচাপ অথবা ব্র্যাজিকার্ডিয়া। সাপাের্টিভ পদক্ষেপ এর মাধ্যমে এসব লক্ষলমূহের চিকিৎসা করা উচিত। যেহেতু মিসােপ্রােস্টলের বিপাক অনেকটা ফ্যাটি এসিডের মতােই, তাই মারাতিরিক্ত মিসোপ্রোস্টল ব্যবহারের চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস কার্যকর নাও হতে পারে।