অ্যাবাক পেডিয়াট্রিক ড্রপস ১২৫ মিগ্রা/১.২৫ মিলি

অ্যাবাক পেডিয়াট্রিক ড্রপস, যাতে সেফরাডিন ১২৫ মিগ্রা/১.২৫ মিলি রয়েছে, কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড প্রস্তুতকৃত একটি প্রথম প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক। ৳৬৫.০০ মূল্যের এই পেডিয়াট্রিক ড্রপস শিশুদের গ্রাম-পজিটিভ ও গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়। শ্বাসতন্ত্র, মূত্রতন্ত্র, ত্বক ও কানের সংক্রমণের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

ওষুধটি রি-কনস্টিটিউট করার পর ঘরের তাপমাত্রায় ৭ দিন ও ফ্রিজে ১৪ দিন সংরক্ষণযোগ্য। শিশুর ওজন অনুযায়ী ২৫-১০০ মিগ্রা/কেজি/দিন মাত্রায় নির্দেশিত। পেনিসিলিন অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বমি ভাব, ডায়রিয়া বা চর্মরাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অ্যাবাক সিরিজের ১২৫ মিগ্রা/৫ মিলি সাসপেনশন ও ৫০০ মিগ্রা ট্যাবলেট বিকল্প হিসেবে পাওয়া যায়। কিডনি বা লিভারের সমস্যায় ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন। ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ করা অত্যাবশ্যক, অন্যথায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন এবং শিশুদের নাগালের বাইরে সংরক্ষণ করুন। কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজের অন্যান্য ওষুধ সম্পর্কে জানতে স্বনামধন্য ফার্মেসি বা চিকিৎসা প্ল্যাটফর্ম ভিজিট করুন।

[শিশুদের ডোজ: ২৫-৫০ মিগ্রা/কেজি দৈনিক, ২-৪ ভাগে বিভক্ত। প্রাপ্তবয়স্ক মূত্রনালীর সংক্রমণে ৫০০ মিগ্রা ৬ ঘণ্টা পরপর। বৃক্কের অসুস্থতায় ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন। চিকিৎসার সময়কাল সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী ৭-১৪ দিন।]

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপাকীয় অসামঞ্জস্যতা ও অতিসংবেদনশীলতার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। অতিসংবেদনশীলতা সেই সব রােগীদের ক্ষেত্রেই বেশি লক্ষ্য করা যায় অথবা যাদের পূর্ব থেকেই অন্য ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, অ্যালার্জি, হাঁপানী, জ্বরজ্বর। ভাব, আর্টিকারিয়া (চুলকানী) ইত্যাদি সমস্যার ইতিহাস ছিল। মাঝে মাঝে ত্বকের প্রদাহের ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়।

বিরল বিরুপ প্রতিক্রিয়াসমূহঃ জিহ্বাতে ব্যথা, বুক জ্বালাপােড়া করা, ঝিমুনী, বুক চেপে আসা, বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, যােনীপ্রদাহ, ক্যান্ডিভিয়া ছত্রাকের অতি বংশবৃদ্ধি। ত্বকের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অতিসংবেদনশীলতার লক্ষণগুলাে হচ্ছে- চুলকানী (আর্টিকারিয়া), র্যাশ, অস্থিসন্ধির ব্যথা, হাতে পায়ে পানি জমা (ইডিমা)।

• রক্ত ও লাসিকাতন্ত্রের সমস্যা: জানা যায়নি- রক্তের সমস্যা যেমন থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, এ্যাগ্র্যানুলােসাইটোসিস, এ্যাপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা), হেমােলাইটক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা)।
• ইমিউন সিস্টেম সংক্রান্ত সমস্যা (রােগপ্রতিরােধতন্ত্রের সমস্যা): জানা যায়নি- জ্বর, সিরামসিকনেসের মত অবস্থা (দুর্বলতা), এ্যানাফাইলেটিক।
• মনেরােগ সক্রান্ত সমস্যা: জানা যায়নি- দ্বিধাগ্রস্থতা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা।
• স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: অতিসক্রিয়তা, হাইপারটোনিয়া, ঝিমুনীভাব, ভীতি। বিরল সমস্যা: মাথা ব্যথা।
• যকৃত ও পিত্তথলি সংক্রান্ত সমস্যা: পুনরাবৃত্তির হার জানা যায়নি- যকৃতের এনজাইমের সমস্যা, যকৃতে কোষের সাময়ীক প্রদাহ, পিত্ত ঘটিত জন্ডিস।
• মূত্রতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা। জানা যায়নি: পরিবর্তনীয় নেফ্রন মধ্যবর্তী প্রদাহ/ সংক্রমণ।
• পরীক্ষা নিরিক্ষা সংক্রান্ত: রক্তে ইউরিয়া নাইট্রোজেন, রক্তের ক্রিয়াটিনিন, এ্যালানিন এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, এ্যাসপার্টেট এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, টোটাল বিলিরুবিন, এ্যালকালাইন ফসফাটেস ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে পারে।

[গর্ভাবস্থায় নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়, শুধু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। স্তন্যদানকালে ওষুধের ক্ষুদ্র পরিমাণ বের হয়, সতর্কতা আবশ্যক।]

[দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে সুপারইনফেকশন মনিটরিং প্রয়োজন। ক্রস-সেন্সিটিভিটি এড়াতে পেনিসিলিন অ্যালার্জি ইতিহাস যাচাই করুন। মূত্রের গ্লুকোজ টেস্টে মিথ্যা পজিটিভ ফল এড়াতে এনজাইমেটিক পদ্ধতি ব্যবহার করুন।]

[শিশু: দৈহিক ওজন অনুযায়ী ডোজ গণনা করুন। বৃদ্ধ: বৃক্ক কার্যকারিতা পরীক্ষা করে ডোজ দিন। বৃক্ক অকার্যকারিতা: ক্রিয়াটিনিন ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী ডোজ কমিয়ে দিন।]

সেফরাডিনের মাত্রাতিরিক্ততার উপসর্গগুলাে সুনির্দিষ্ট নয় এবং সাধারনত বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা এবং পাকস্থলির সমস্যা হয়। মাত্রাতিরিক্ততার ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক এবং সহায়ক চিকিৎসা করা উচিত। যদি কোন ক্ষেত্রে অনেক বেশী পরিমানে গ্রহণের ঘটনা ঘটে তবে সেক্ষেত্রে পাকস্থলি পরিস্কার করতে হবে।