কন্টেন্টে যান
এবেটিস প্লাস ট্যাবলেট - ওষুধের ছবি

এবেটিস প্লাস ট্যাবলেট ২০ মিলিগ্রাম + ১২.৫ মিলিগ্রাম

জেনেরিক নাম:

ডোসেজ ফর্মস:

ওষুধের শ্রেণী:

প্রস্তুতকারক কোম্পানি:

সংরক্ষণ: শীতল ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

এবেটিস প্লাস ট্যাবলেট দাম

প্রতি পিস

৳১১

প্রতি স্ট্রিপ

৳১১০

প্রতি প্যাক

৳৫৫০

প্যাক সাইজ

৫ x ১০ ট্যাবলেট

দ্রষ্টব্য: মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

এবেটিস প্লাস ট্যাবলেট এর কাজ কি?

এবেটিস প্লাস হলো একটি শক্তিশালী এন্টিহাইপারটেনসিভ ট্যাবলেট, যাতে ওলমেসারটান মেডােক্সোমিল (২০ মি.গ্রা.) এবং হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড (১২.৫ মি.গ্রা.) রয়েছে। এসিআই লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ঔষধ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। মূল্য প্রতি ট্যাবলেট ৳১১.০০, স্ট্রিপ মূল্য ৳১১০.০০ (১০ ট্যাবলেট) এবং প্যাক মূল্য ৳৫৫০.০০ (৫০ ট্যাবলেট)৷

এই ট্যাবলেট সাধারণত একক চিকিৎসায় প্রতিক্রিয়াহীন রোগীদের জন্য নির্দেশিত। প্রাথমিক ডোজ প্রতিদিন ২০/১২.৫ মি.গ্রা., যা ২-৪ সপ্তাহ পর ৪০/২৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানাে যায়। গর্ভাবস্থা/স্তন্যদানকালে ব্যবহার নিষেধ। আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। বমিভাব, মাথাব্যথা সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

ফার্মাকোলজি: ওলমেসারটান AT রিসেপ্টর ব্লক করে রক্তনালীর সংকোচন রােধ করে। হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড সােডিয়াম নিষ্কাশন বাড়িয়ে রক্তচাপ কমায়। একসাথে ব্যবহারে পটাশিয়াম হারানাের ঝুঁকি কমে। ডিগক্সিন/ওয়ারফেরিনের সাথে তাৎপর্যপূর্ণ ইন্টারঅ্যাকশন নেই। তবে এনএসএআইডি বা লিথিয়াম সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন।

সতর্কতা: অতিরিক্ত ডোজে ইলেকট্রোলাইট অসামঞ্জস্য বা হাইপোটেনশন হতে পারে। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। কিডনি সমস্যায় ব্যবহার অনুপযুক্ত। নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ ও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷

মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি

প্রতিদিন ১টি ট্যাবলেট (২০/১২.৫ মি.গ্রা.) সকালে খাবারের সাথে সেব্য। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না হলে ৪ সপ্তাহ পর ডোজ ৪০/২৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যায়। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./মিনিটের নিচে হলে ব্যবহার নিষেধ। ট্যাবলেট সম্পূর্ণ গিলে ফেলুন, চিবাবেন না।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহ হচ্ছে বমিবমি ভাব, মাথা ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, আপার রেসপিরেটরী ট্র্যাক্ট ইনফেকশন্‌ ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন্। অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহ হচ্ছে বুক ব্যথা, পেট ব্যথা, ব্যাক পেইন, ইডেমা, ডিসপেপসিয়া, গ্যাসট্রোএনটেরাইটিস্, ডায়ারিয়া।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান

গর্ভাবস্থায় ‘ডি’ ক্যাটাগরির ওষুধ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যবহারে ভ্রূণের ক্ষতি হয়। স্তন্যদানকালে ব্যবহার নিরাপদ নয়।

সতর্কতা ও সতর্কীকরণ

রক্তে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্রিয়েটিনিন নিয়মিত মনিটর করুন। গাউট বা লুপাস Erythematosus থাকলে সতর্ক হন। সূর্যালোক এড়িয়ে চলুন (থায়াজাইডে ফটোসেনসিটিভিটি)।

বিশেষ জনগোষ্ঠীতে ব্যবহার

বৃক্কীয় রোগ: CrCl <৩০ হলে contraindicated। শিশুদের জন্য অপ্রযোজ্য। লিভার রোগে ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন নেই। বয়স্কদের নিম্ন ডোজ শুরু করুন।

অতিরিক্ত মাত্রার প্রভাব

ওলমেসারটান: মানুষের ওলমেসারটানের মাত্রাধিক্যের খুব সামান্য তথ্য পাওয়া যায়। তবে হাইপােটেনসান ট্যাকিকার্ডিয়া হতে পারে, সেসব ক্ষেত্রে সাপাের্টিভ চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড: সবচেয়ে বেশী যেসব উপসর্গ দেখা যায়, তা ইলেকট্রোলাইট নিস্কাশনের ফলে (হাইপােক্যোলেমিয়া, হাইপােক্লোরেমিয়া ও ডিহাইড্রেশন), যা অতিরিক্ত ডাইইউরেসিস থেকে হতে পারে । যদি এরসাথে ডিজিটালিস ব্যবহার করা হয়, তবে অতিরিক্ত হাইপােক্যালেমিয়া থেকে কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া হতে পারে।

এবেটিস প্লাস ট্যাবলেট নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

⚠️ ডিসক্লেইমার

আমরা মেডেক্সলিতে নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এই তথ্য কেবলমাত্র জ্ঞানের জন্য, কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের তথ্য বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইন্টারনেট, পাবলিক সোর্স এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়; সেই কারণে কিছু ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য কোনো আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমাদের লক্ষ্য আপনাকে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, ডাক্তারের ভূমিকা পালন করা নয়।

Olmesartan Medoxomil + Hydrochlorothiazide জেনেরিকের অন্যান্য ওষুধ

ACI Limited থেকে আরও ওষুধসমূহ

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা - জেনেরিক নাম, ব্র্যান্ড, ডোজ ফর্ম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভিত্তিতে