এবিকন প্লাস ওরাল সাসপেনশন (৫০০ মি.গ্রা. + ২৬৭ মি.গ্রা. + ১৬০ মি.গ্রা.)/১০ মি.লি.

এবিকন প্লাস সাসপেনশন (হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুত) প্রতি ১০ মি.লি.-এ সোডিয়াম অ্যালজিনেট (৫০০ মিগ্রা), সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (২৬৭ মিগ্রা) ও ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (১৬০ মিগ্রা) সমন্বিত একটি মুখে সেবনের সাসপেনশন। ৳২৫০ মূল্যের এই ওষুধ পাকস্থলীর অ্যাসিড ও বুক জ্বালায় দ্রুত কার্যকরী।

হার্টবার্ন, গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স ও গর্ভকালীন অম্লজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত এবিকন প্লাস অ্যাসিড নিস্ক্রিয় করে পাকস্থলীতে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। অ্যালজিনিক অ্যাসিড জেল ৪ ঘন্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে, যা খাদ্যনালীর জ্বালা প্রতিরোধে সহায়ক।

মাত্রা নির্দেশিকা:

• ১২+ বছর: ১০-২০ মি.লি. দিনে ৪ বার
• ৬-১২ বছর: ৫-১০ মি.লি. দিনে ৪ বার

৬ বছরের নিচে নিষিদ্ধ। খাবারের পর ও ঘুমানোর আগে সেব্য।

টেট্রাসাইক্লিন বা আয়রন সাপ্লিমেন্টের সাথে ২ ঘন্টা ব্যবধান বজায় রাখুন। কোষ্ঠকাঠিন্য বা ফ্লাটুলেন্স দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে নিরাপদ। ৩০°C এর নিচে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।

৳২৫০ মূল্যের এই অ্যান্টাসিড সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন: সোডিয়াম অ্যালজিনেট কম্বিনেশন। এবিকন ম্যাক্সের বিকল্প হিসাবে কার্যকরী সমাধান।

প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২+ বছর: ১০-২০ মিলি দিনে ৪ বার (খাওয়ার পর ও ঘুমানোর সময়)। ৬-১২ বছর: ৫-১০ মিলি একই নিয়মে। ৬ বছরের কমে নিষেধ। সাসপেনশন ভালো ঝাঁকিয়ে মৌখিকভাবে সেব্য। চিকিৎসক না বললে ৭ দিনের বেশি ব্যবহার না করা উচিত।

ওষুধের কাঙ্খিত ফলাফল প্রাপ্তির সাথে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও প্রদর্শিত হতে পারে। যেমন: কোষ্ঠকাঠিন্য, ফ্লাটুলেন্স, পাকস্থলির খিঁচুনি অথবা ঢেঁকুর তোলা। এসকল ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। যদি অতিবেশী মাত্রায় গ্রহন করা হয়ে থাকে তবে স্ফীত পাকস্থলি সংবেদিত হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা যুক্তিযুক্ত।

গর্ভাবস্থায় নিরাপদ। স্তন্যদানকালে ব্যবহারযোগ্য। গবেষণায় ভ্রূণ বা নবজাতকের ক্ষতি প্রমাণিত নয়।

হৃদরোগী ও কিডনি রোগে সোডিয়াম/ক্যালসিয়াম মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন। ১২ বছরের নিচে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

বয়স্কদের কিডনি কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন। কিডনি/লিভার রোগে সম্পূর্ণ নিষেধ। শিশুদের ক্ষেত্রে কঠোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।

অপরিমিত মাত্রা গ্রহনের ক্ষেত্রে ঔপসর্গিক চিকিৎসা দিতে হবে।