এসিক্যাল-এমএক্স এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট

এসিক্যাল-এমএক্স এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট (এসিআই লিমিটেড প্রস্তুত) হল ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি৩ + মাল্টিমিনারেল সমন্বিত একটি ঔষধ যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত হয়। প্রতি ট্যাবলেটের মূল্য ৳২০.০০ (স্ট্রিপ মূল্য: ৳২০০.০০)। এই এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট সহজে শোষণযোগ্য ও ব্যবহার-বান্ধব।

মুখ্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসা, গর্ভাবস্থায় পুষ্টি সম্পূরক, এবং হাড়ের ঘাটতি প্রতিরোধ। ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাংগানিজ ও বোরন সমৃদ্ধ এই ফর্মুলা হাড়ের ঘনত্ব ও স্নায়ু-পেশীর কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। গবেষণায় এদের সমন্বিত প্রভাব অস্থিভঙ্গের ঝুঁকি হ্রাস করে।

খাওয়ার নিয়ম: প্রাতঃরাশ ও রাতের খাবারের পর ১ টি ট্যাবলেট পানিতে দ্রবীভূত করে সেব্য। টেট্রাসাইক্লিন বা ডিগক্সিন ব্যবহারকারীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঔষধটি শিশুদের নাগালের বাইরে শুষ্ক ও আলোহীন স্থানে সংরক্ষণ করুন।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে বমিভাব বা পেটে মোচড় দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি৩ + মাল্টিমিনারেল এর বিকল্প প্রস্তুতির তুলনায় এসিক্যাল-এমএক্স-এর এফারভেসেন্ট ফর্ম সেবনে সুবিধাজনক ও কার্যকর।

প্রাপ্তবয়স্ক: ১ ট্যাবলেট দিনে ২ বার (সকাল ও সন্ধ্যা) খাবারের পর পানি দিয়ে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বৃক্কের সমস্যায় ডোজ adjustment প্রয়োজন হতে পারে। ট্যাবলেট সম্পূর্ণ পানিতে দ্রবীভূত করে নিন।

এটি সাধারণত সুসহনীয়। বমিবমি ভাব বা বমি, পাকস্থলীর মোচড়ানো, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, তৃষ্ণা বৃদ্ধি পাওয়া অথবা যদি মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তবে চিকিৎসককে জানাতে হবে। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা যায়না।

গর্ভাবস্থায় Category C: শুধুমাত্র চিকিৎসকের নির্দেশে ব্যবহার করুন। স্তন্যদানকালে ক্যালসিয়াম দুধের মাধ্যমে শিশুর কাছে যেতে পারে, মাত্রা নিরীক্ষণ আবশ্যক।

হৃদরোগ, ডিহাইড্রেশন বা ইলেক্ট্রোলাইট অসামঞ্জস্যতায় সতর্কতা অবলম্বন করুন। রক্তে ক্যালসিয়াম ও কিডনি ফাংশন প্রতি ৩ মাসে পরীক্ষা করা উচিত। লিভার সমস্যায় ম্যাংগানিজ জমার ঝুঁকি।

বয়স্ক রোগীদের কিডনি ফাংশন পরীক্ষা সাপেক্ষে ডোজ কমানো যেতে পারে। শিশুদের ব্যবহারে নিরাপত্তা তথ্য সীমিত। লিভার/কিডনি রোগে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট লেভেল মনিটরিং জরুরি।

মাত্রাধিক্যতার লক্ষণগুলো হচ্ছে বমিবমি ভাব বা বমি, তীব্র তন্দ্রাচ্ছন্নতা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, ধাতব স্বাদ, পাকস্থলীর মোচড়ানো, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এবং কোষ্টকাঠিন্য।