কন্টেন্টে যান
এসিফিক্স ট্যাবলেট (এন্টেরিক কোটেড) - ওষুধের ছবি

এসিফিক্স ট্যাবলেট (এন্টেরিক কোটেড) ২০ মিলিগ্রাম

জেনেরিক নাম:

ডোসেজ ফর্মস:

ওষুধের শ্রেণী:

প্রস্তুতকারক কোম্পানি:

সংরক্ষণ: ৩০°C তাপমাত্রার নিচে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

এসিফিক্স ট্যাবলেট (এন্টেরিক কোটেড) দাম

প্রতি পিস

৳৭.০০

প্রতি স্ট্রিপ

৳৭০.০০

প্রতি প্যাক

৳৭০০.০০

প্যাক সাইজ

১০ x ১০

দ্রষ্টব্য: মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

এসিফিক্স ট্যাবলেট (এন্টেরিক কোটেড) এর কাজ কি?

এসিফিক্স (র‌্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম) হলো বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুতকৃত একটি প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর। ২০ মিগ্রা শক্তির এই গ্যাস্ট্রো-রেজিস্ট্যান্ট ট্যাবলেট ডিওডেনাল আলসার, জিইআরডি, এবং জলিনজার-এলিসন সিনড্রোমের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রতি ট্যাবলেটের দাম ৳৭.০০ এবং ১০ ট্যাবলেটের স্ট্রিপ মূল্য ৳৭০.০০।

ওষুধটি পাকস্থলির প্যারাইটাল কোষে H+/K+-ATPase এনজাইম বন্ধ করে এসিড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। র‌্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম ভিত্তিক এই এন্টেরিক কোটেড ট্যাবলেট ৪-৮ সপ্তাহের মধ্যে ৯০% রোগীর আলসার নিরাময় করে। বাংলাদেশে সহজলভ্যতার কারণে এটি জনপ্রিয় অ্যান্টি-আলসার ওষুধ।

প্রধান ব্যবহার:

  • সক্রিয় ডিওডেনাল/গ্যাস্ট্রিক আলসার
  • খাদ্যনালীর ক্ষয়জনিত রিফ্লাক্স রোগ
  • হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নির্মূল চিকিৎসা
  • দীর্ঘমেয়াদী এসিড নিয়ন্ত্রণ

কিটোকোনাজল ও এটাজানাভিরের সাথে মিথস্ক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ৩% রোগীর মধ্যে মাথাব্যথা বা ডায়রিয়া হয়। গর্ভাবস্থায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন (এফডিএ ক্যাটাগরি সি)। ৩০°C এর নিচে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন।

মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি

ডিওডেনাল আলসারে ২০ মিগ্রা দিনে ১ বার ৪-৮ সপ্তাহ। GERD চিকিৎসায় ২০ মিগ্রা ৪-৮ সপ্তাহ। শিশুদের (<১৫ কেজি) ৫ মিগ্রা, ≥১৫ কেজি ১০ মিগ্রা ১২ সপ্তাহ। জলিনজার সিনড্রোমে ৬০-১২০ মিগ্রা/দিন। এন্টেরিক কোটেড ট্যাবলেট সম্পূর্ণ গিলে খেতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারনত র‌্যাবিপ্রাজল স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় সুসহনীয়। কোন কোন সময় র‌্যাবিপ্রাজল সেবনে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখ গহবরে শুষ্কতা, ক্ষুধা বাড়ানো বা কমানো, পেশীতে ব্যথা, ঘুমঘুম ভাব, মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান

গর্ভাবস্থায় ক্যাটাগরি ‘সি’: প্রাণী গবেষণায় ক্ষতি নেই,但 মানব তথ্য সীমিত। বুকের দুধে নিঃসৃত হয়, তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন। বেক্সিমকো ফার্মার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

সতর্কতা ও সতর্কীকরণ

দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি১২ সম্পূরক নিন। হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করুন। ১ বছরের বেশি ব্যবহার এড়ানো ভালো। GERD রোগীদের অ্যান্ডোস্কপি করে ম্যালিগন্যান্সি নিশ্চিত করুন।

বিশেষ জনগোষ্ঠীতে ব্যবহার

শিশুদের জন্য শুধুমাত্র ১-১১ বছর বয়সে GERD চিকিৎসায় ব্যবহার্য। কিডনি বা লিভার সমস্যায় ডোজ সংশোধন লাগে না। বয়স্কদের হাড় ভাঙার ঝুঁকি নিরীক্ষণ করুন।

অতিরিক্ত মাত্রার প্রভাব

সর্বোচ্চ সুপ্রতিষ্ঠিত মাত্রা ৬০ মিগ্রা দিনে দুইবার অথবা ১৬০ মিগ্রা দিনে একবার এর বেশী দেয়া যাবে না। সাধারনত সামান্য ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায় যা কিনা জানা বিরুপ প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং কোন প্রকার চিকিৎসা ছাড়াই তা পুনরায় ঠিক হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক জানা নেই। র‌্যাবিপ্রাজল খুব বেশী পরিমাণ প্রোটিনে আবদ্ধ হয় সেজন্য ডায়ালাইসিস করা যায় না। যেকোন মাত্রাতিরিক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে, উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিৎ এবং সাধারণ সহায়ক উপায় ব্যবহার করা উচিত।

এসিফিক্স ট্যাবলেট (এন্টেরিক কোটেড) নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

⚠️ ডিসক্লেইমার

আমরা মেডেক্সলিতে নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এই তথ্য কেবলমাত্র জ্ঞানের জন্য, কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের তথ্য বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইন্টারনেট, পাবলিক সোর্স এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়; সেই কারণে কিছু ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য কোনো আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমাদের লক্ষ্য আপনাকে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, ডাক্তারের ভূমিকা পালন করা নয়।

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা - জেনেরিক নাম, ব্র্যান্ড, ডোজ ফর্ম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভিত্তিতে