এসিফিন আইভি ইঞ্জেকশন ২ গ্রাম/ভায়াল

এসিফিন ইঞ্জেকসন ২ গ্রাম/ভায়াল হলো একটি শক্তিশালী তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক, যাতে সক্রিয় উপাদান হিসেবে রয়েছে সেফট্রায়াক্সন সোডিয়াম। এসিআই লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ইনজেকশন নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, সেপসিস ও গনোরিয়ার মতো সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রতি ভায়ালের দাম ৳৩২০.০০, যা রোগীদের জন্য সুবিধাজনক দৈনিক এক ডোজের ব্যবস্থা করে।

এসিফিন ইঞ্জেকসন ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠনে বাধা দেয় এবং বিটা-ল্যাকটামেজ এনজাইম প্রতিরোধী। ৬-৯ ঘণ্টার দীর্ঘ অর্ধায়ুর কারণে দিনে একবার ব্যবহার যথেষ্ট। ঔষধের ৪০-৬৫% মূত্রের মাধ্যমে এবং বাকিটা পিত্তনালী দিয়ে নির্গত হয়। ৯৫% প্রোটিন বাইন্ডিং ক্ষমতা জটিল সংক্রমণে কার্যকরী।

প্রয়োগক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে শ্বাসতন্ত্র, চর্ম, মূত্রনালী ও অস্থির সংক্রমণ। সার্জারির পূর্ব ও পরবর্তী প্রতিরোধেও ব্যবহার হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ডোজ ১-২ গ্রাম/দিন, শিশুদের ৫০-৭৫ মিগ্রা/কেজি। গনোরিয়ায় ২৫০ মিগ্রা এক ডোজই পর্যাপ্ত। লক্ষণ消失后 আরও ২ দিন চিকিৎসা চালাতে হয়।

ডায়রিয়া, চুলকানি, লিভার এনজাইম বৃদ্ধি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বা খিঁচুনি বিরল। পেনিসিলিন অ্যালার্জি থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিরাপদ কিনা তা নির্দিষ্ট নয়। ঔষধটি ৩০°C এর নিচে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। অন্যান্য বিকল্প জানতে ভিজিট করুন আইভি ইনজেকশন পেজ।

প্রাপ্তবয়স্ক: দিনে ১-২ গ্রাম IV/IM (সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম)। শিশু: দৈনিক ৫০-৭৫ মিগ্রা/কেজি (সর্বোচ্চ ২-৪ গ্রাম)। গনোরিয়ায় ২৫০ মিগ্রা এক ডোজ। অস্ত্রোপচার পূর্বে ১ গ্রাম IV। চিকিৎসার মেয়াদ সাধারণত ৪-১৪ দিন, লক্ষণ মিলিয়ে যাওয়ার পরও ২ দিন চলবে।

সেফট্রায়াক্সন সাধারনতঃ সুসহনীয়। অল্প কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলোঃ গ্যাষ্ট্রোইন্টেসটাইনাল সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, স্টমাটাইটিস, গ্লসাইটিস; কিউটেনিয়াস প্রতিক্রিয়া যেমন ত্বকের লালচে ভাব, pruritus (চুলকানী), আরটিকেরিয়া, ইডিমা ও ইরাইথেমা মাল্টিফর্ম; হিমাটোলজিক প্রতিক্রিয়া যেমনঃ ইওসিনোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, অ্যানিমিয়া ও নিউট্রোপেনিয়া; যকৃতের প্রতিক্রিয়া যেমন SGOT ও SGPT এর মাত্রা বৃদ্ধি, বিলিরুবনেমিয়া; কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া যেমন, স্নায়ু দূর্বলতা, দ্বিধা গ্রস্থতা, ঘুমের সমস্যা, মাথা ব্যথা, হাইপার অ্যাকটিভিটি, খিঁচুনি, হাইপারটনিয়া এবং ঝিঁমুনী ভাবের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শিরায় ইনজেকশনের কারণে স্থানীয় ফ্লেবাইটিস কদাচিৎ হতে পারে কিন্তু ধীরগতিতে ২-৪ মিনিট ধরে ইনজেকশন প্রয়োগ করলে এই সমস্যা কমে যায়।

গর্ভাবস্থায় নিরাপদতা নিশ্চিত নয়। প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করার পরামর্শ। স্তন্যদানকালে সতর্কতা সহকারে প্রয়োগ করুন।

অ্যানাফাইল্যাক্সিসের ঝুঁকি রয়েছে। ইনজেকশন ধীরে দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে পিত্তথলির সমস্যা ও রক্ত পরীক্ষা 필요। এসিআই লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ইনজেকশন শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহারযোগ্য।

২৮ দিনের কম বয়সী শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ। কিডনি বা লিভার রোগে ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। বয়স্করা সাধারণ ডোজই ব্যবহার করতে পারবেন।

কোন নির্দিষ্ট এন্টিডট নাই। মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে ।