এক্লাস্টা আইভি ইনফিউশন ৫ মিগ্রা/১০০ মিলি

এক্লাস্টা আইভি ইনফিউশন: বিস্তারিত ঔষধ তথ্য

এক্লাস্টা আইভি ইনফিউশন (জোলিড্রনিক এসিড) হলো সেন্ডোজ (নোভার্টিস ডিভিশন) প্রস্তুতকৃত একটি বিসফসফোনেট। ৳৩৮,১৯০.০০ মূল্যের এই ইনফিউশন অস্টিওপোরোসিস, পেজেট রোগ এবং স্টেরয়েড-প্ররোচিত হাড়ের ক্ষয় নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। শিরায় ইনফিউশন এর মাধ্যমে বছরে একবার বা দুই বছরে একবার প্রয়োগ করা হয়।

এটি অস্টিওক্লাস্ট কার্যকলাপ বাধা দিয়ে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষা করে। ১৫ মিনিটে ৫ মি.গ্রা. ডোজ প্রয়োগের পর ৩০°C এর নিচে সংরক্ষণ আবশ্যক। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে জ্বর, পেশী ব্যথা এবং মাথাব্যথা উল্লেখযোগ্য। কিডনি রোগী বা হাইপোক্যালসেমিয়ায় সতর্কতা প্রয়োজন।

প্রধান ব্যবহার:

• মেনোপজ-পরবর্তী অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসা/প্রতিরোধ
• পুরুষদের হাড়ের ভর বৃদ্ধি
• পেজেট রোগের ব্যবস্থাপনা
• স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত হাড়ক্ষয়

রোগীদের প্রতিদিন ১২০০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম ও ৮০০-১০০০ আইইউ ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে। অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড বা মূত্রবর্ধকের সঙ্গে ব্যবহারে হাইপোক্যালসেমিয়া বাড়তে পারে। গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ এবং স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা যায় না।

বছরে একবার ৫ মিগ্রা শিরায় ১৫ মিনিটে প্রয়োগ। কিডনি রোগে (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <৩৫ মিলি/মিনিট) ব্যবহার নিষিদ্ধ। প্রতিটি ডোজের আগে রেনাল ফাংশন পরীক্ষা আবশ্যক। অস্টিওপোরোসিসে ৩-৫ বছর পর চিকিৎসা পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন। পেজেটস রোগে ১৫০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম ও ৮০০ আইইউ ভিটামিন ডি সহযোগে চিকিৎসা দিতে হবে।

সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (১০% এর বেশি) হল পাইরেক্সিয়া, মায়ালজিয়া, মাথাব্যথা, আর্থ্রালজিয়া, হাতের এবং পায়ের আঙ্গুলের আগায় ব্যথা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি হল ঠান্ডা-কাশির মতো অসুস্থতা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং চোখের প্রদাহ।

গর্ভাবস্থায় ‘ডি’ ক্যাটাগরি: ভ্রূণের ক্ষতির প্রমাণ রয়েছে। স্তন্যদানকালে ব্যবহার নিষিদ্ধ। গর্ভধারণক্ষম নারীদের কার্যকর গর্ভনিরোধক প্রয়োজন।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। দাঁতের চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৌখিক পরীক্ষা আবশ্যক। শিরায় ইনফিউশন সময় ১৫ মিনিটের কম করবেন না। অস্বাভাবিক ফিমার ব্যথায় এক্স-রে করিয়ে নিন।

বাচ্চাদের ব্যবহার নিষিদ্ধ। বয়স্ক রোগীদের কিডনি ফাংশন মনিটরিং করুন। কিডনি রোগে (CrCl ≥৩৫ মিলি/মিনিট) ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই। লিভার রোগে বিশেষ সতর্কতা অপ্রযোজ্য।

যে সব রোগীদেরকে নির্দেশিত ডোজ থেকে বেশি ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদেরকে সাবধানে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ঔষধের মাত্রাধিক্যের কারণে গুরুতর রেনাল প্রতিবন্ধকতা, হাইপোক্যালসেমিয়া, হাইপোফসফেটেমিয়া এবং হাইপোম্যাগনেসিমিয়া দেখা যেতে পারে। ক্যালসিয়াম, ফসফোরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সিরামে হ্রাস হলে ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট, পটাসিয়াম বা সোডিয়াম ফসফেট এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দ্বারা শিরায় প্রশাসনের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে। যোলেড্রোনিক এসিডের সিংগেল ডোজ ৫ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয় এবং শিরায় আধানের সময়কাল ১৫ মিনিটের কম হওয়া উচিত নয়।