এক্লিজ প্লাস ট্যাবলেট ২৫ মি.গ্রা.+৫০ মি.গ্রা.

এক্লিজ প্লাস ট্যাবলেট হলো মেক্লিজিন (২৫ মি.গ্রা.) ও পাইরিডক্সিন (৫০ মি.গ্রা.) সমৃদ্ধ একটি বমনরোধী ঔষধ। এরিস্টোফার্মা লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ট্যাবলেট বমি বমি ভাব, মাথাঘোরা, ভ্রমণজনিত অসুস্থতা ও বিকিরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। প্রতি ইউনিট ৳৩.৫০ এবং স্ট্রিপ মূল্য ৳৩৫.০০ সহ এটি সাশ্রয়ী মূল্যে মেনিয়ারস সিনড্রোমের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

মেক্লিজিন + পাইরিডক্সিন যুগ্মভাবে হিস্টামিন রিসেপ্টর ব্লক করে এবং ভিটামিন বি-৬ এর মাত্রা বাড়ায়। মেক্লিজিন ভেস্টিবিউলার সংবেদনশীলতা কমায়, অন্যদিকে পাইরিডক্সিন বমননিরোধক প্রভাব ত্বরান্বিত করে। ১২+ বয়সীদের জন্য ভ্রমনের ১ ঘন্টা আগে ২৫-৫০ মি.গ্রা. সেবন করুন।

জরুরি গর্ভনিরোধক বমি প্রতিরোধে এটি ব্যবহৃত হয়। অ্যালকোহল বা অন্যান্য সিএনএস অবদমক ঔষধের সাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ঝিমুনি ও মুখ শুষ্ক হওয়া সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে ৩০°সে.-এ সংরক্ষণ করুন।

গর্ভাবস্থায় (ক্যাটাগরি বি) নিরাপদ হলেও স্তন্যদানকালে সতর্কতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত মাত্রায় খিঁচুনি হতে পারে—দ্রুত চিকিৎসা নিন। এক্লিজ প্লাস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২+ বছর: বমি/মাথাঘোরা- দিনে ২৫-৫০ মি.গ্রা., ভ্রমণের ১ ঘণ্টা আগে ২৫-৫০ মি.গ্রা.। বিকিরণ চিকিৎসার ২-১২ ঘণ্টা আগে ৫০ মি.গ্রা.। সর্বোচ্চ ডোজ: ১০০ মি.গ্রা./দিন। ট্যাবলেট পুরো গিলে খান, চিবাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

ঝিমুনি, শুষ্ক মুখ এবং বিরলক্ষেত্রে চোখে ঝাপসা ভাব দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় (ক্যাটাগরি বি): নিরাপদ, তবে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করুন। স্তন্যদানকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়, তাই এড়ানো ভালো।

গাড়ি চালানো বা ভারী যন্ত্র ব্যবহারে সতর্ক হন। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। লিভার/কিডনি রোগে ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন। Aristopharma Ltd অন্যান্য ওষুধের তথ্য জানতে ভিজিট করুন।

বয়স্করা ঝিমুনি ও পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকায় কম ডোজে শুরু করুন। কিডনি/লিভার রোগে নিরাপদ মাত্রা নিশ্চিত করুন। ১২ বছরের নিচে ব্যবহার অনুমোদিত নয়।

লক্ষণসমূহ: অতি উত্তেজনা, খিঁচুনী, ঝিমুনি এবং হ্যালুসিনেশন।
চিকিৎসা: সঠিক সহযোগীমূলক এবং সিমটোমেটিক চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। ডায়ালাইসিস করানো যেতে পারে।