3-C ক্যাপসুল ২০০ মিলিগ্রাম

৩-সি ক্যাপসুল একটি তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক, যাতে রয়েছে সেফিক্সিম ট্রাইহাইড্রেট ২০০ মিগ্রা। এড্রুক লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ক্যাপসুল মুত্রনালীর সংক্রমণ, টনসিলাইটিস এবং গনোরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রতি ক্যাপসুলের মূল্য ৳৩৫.০০ (১২ টির প্যাক: ৳৪২০.০০)।

এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠনে বাধা দিয়ে কাজ করে। বিটা-ল্যাকটামেজ এনজাইম প্রতিরোধী হওয়ায় পেনিসিলিন-অকার্যকর ইনফেকশনে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের সঙ্গে বা ছাড়া সেবনে ৪০-৫০% শোষণ হয়।

প্রধান ব্যবহার:

• ই. কোলাই দ্বারা সৃষ্ট মুত্রনালীর সংক্রমণ
• স্ট্রেপ্টোকক্কাল টনসিলাইটিস
• তীব্র গনোকক্কাল সংক্রমণ
• শিশুদের মধ্যকর্ণের প্রদাহ

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মাত্রা ২০০-৪০০ মিগ্রা/দিন, শিশুদের বয়স ও ওজন অনুযায়ী ৭৫-৩০০ মিগ্রা। ওয়ারফেরিন ব্যবহারকারীদের রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ৩০°সে.-এর নিচে, শিশুদের নাগালের বাইরে সংরক্ষণ করুন।

ডায়রিয়া (১১%) ও বমি বমি ভাব (৩%) সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। গুরুতর অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া বিরল তবে ঔষধ বন্ধের প্রয়োজন হয়। গর্ভাবস্থায় ব্যবহার সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।

প্রাপ্তবয়স্ক: দিনে ২০০-৪০০ মিগ্রা এক বা দুটি মাত্রায়। গনোরিয়ায় ৪০০ মিগ্রা একক মাত্রা। শিশু (৬ মাস+): দৈহিক ওজন অনুযায়ী ৮ মিগ্রা/কেজি/দিন। কিডনি রোগে ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <২০ মি.লি./মিনিটে সর্বোচ্চ ২০০ মিগ্রা/দিন। চিকিৎসার মেয়াদ সাধারণত ৭-১৪ দিন।

ঔষধটি সাধারণত সুসহনীয়। সচরাচর দৃষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে- ডায়রিয়া এবং মলের ধরণ পরিবর্তন যা সাধারণত উচ্চ মাত্রায় ঔষধ সেবনের কারণে হয়ে থাকে। ডায়রিয়া গুরুতর হলে ঔষধ সেবন বন্ধ করতে হবে। স্বল্প পরিলক্ষিত অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ হচ্ছে বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, বদহজম, বমি, পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা এবং মাথাঘোরা বিভিন্ন ধরনের এলার্জি যেমন ফুঁসকুড়ি, চুলকানি, আমবাত, ঔষধ জনিত জ্বর এবং সন্ধি ব্যথা পরিলক্ষিত হয়। এই প্রতিক্রিয়া সমূহ খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় যা চিকিৎসা বন্ধ করার সাথে সাথে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করুন। স্তন্যদানকালে নিরাপদতা নিশ্চিত নয়।

কোলাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে রক্তের ক্রিয়েটিনিন মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

বৃদ্ধ ও কিডনি রোগীদের মাত্রা কমানো প্রয়োজন। যকৃতের রোগে বিশেষ পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুতে নিষিদ্ধ।

মাত্রাধিক্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ নির্দেশিত। সেফিক্সিম এর কোন এন্টিডোট নেই। হিমোডায়ালাইসিস বা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস দ্বারা রক্তপ্রবাহ হতে তেমন বিশেষ পরিমান সেফিক্সিম অপসারন করা যায় না। প্রাপ্ত বয়স্ক স্বাস্থ্যবান সেচ্ছাকর্মীদের কিছু সংখ্যক এর ক্ষেত্রে একক মাত্রায় ২ গ্রাম পর্যন্ত সেফিক্সিম সেবনে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা সাধারন মাত্রা সেবনে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় তা থেকে আলাদা নয়।