এ-ফ্লক্স পাউডার ফর সাসপেনশন ১২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি.

এ-ফ্লক্স হল ফ্লুক্লক্সাসিলিন সোডিয়াম (১২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি.) সমৃদ্ধ একটি পেনিসিলিনেজ-প্রতিরোধী অ্যান্টিবায়োটিক। একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই সাসপেনশন পাউডার গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রতি ইউনিট ৳৮০.০০ মূল্যের এই ঔষধ ত্বক, শ্বাসনালী ও অন্যান্য সংক্রমণের জন্য সাশ্রয়ী সমাধান প্রদান করে।

এ-ফ্লক্স স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস ও পেনিসিলিনেজ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। ফোঁড়া, নিউমোনিয়া, অস্টিওমায়েলাইটিস এবং অপারেশন পরবর্তী সংক্রমণ রোধে এটি ব্যবহৃত হয়। পেনিসিলিনেজ-প্রতিরোধী পেনিসিলিন শ্রেণীর এই ঔষধের ২৫০ মি.গ্রা. ও ৫০০ মি.গ্রা. ডোজ সহজলভ্য।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মাত্রা: দিনে ৪ বার ২৫০ মি.গ্রা.। শিশুদের বয়সানুপাতে ডোজ পরিবর্তিত হয়। প্রোবেনসিডের সাথে ব্যবহারে প্লাজমা ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। বমি, ডায়রিয়া, র‌্যাশ সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।

গর্ভাবস্থায় (এফডিএ ক্যাটাগরি বি) সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন। স্তন্যদানকালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফ্লুক্লক্সাসিলিন সোডিয়ামের বিকল্প বা একমি ল্যাবরেটরিজের অন্যান্য ঔষধ সম্পর্কে জানতে মেডেক্সলির ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

প্রাপ্তবয়স্ক: ২৫০ মিগ্রা ৬ ঘন্টা পরপর (দৈনিক ৪ বার)। বাচ্চা (২-১০ বছর): প্রাপ্তবয়স্ক মাত্রার অর্ধেক। রেনাল অকার্যকারিতায়: ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ১০ মিলি/মিনিটের নিচে হলে মাত্রা সমন্বয় আবশ্যক। চিকিৎসার মেয়াদ সংক্রমণের তীব্রতার উপর নির্ভরশীল (সাধারণত ৭-১৪ দিন)।

পরিপাকতন্ত্রীর সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে- বমিবমি ভাব বা বমি, ডায়রিয়া, বদহজম এবং অন্যান্য পরিপাকতন্ত্রীয় সমস্যা। এগুলো ছাড়াও র‌্যাশ, আর্টিক্যারিয়া, পুরপুরা, জ্বর, ইনটারস্টিসিয়াল নেফ্রাইটিস, হেপাটাইটিস এবং কোলেস্টেটিক জন্ডিস লক্ষ্য করা যায়।

গর্ভাবস্থায় (ক্যাটাগরি বি) শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। স্তন্যদানকালে ব্যবহারে শিশুর ডায়রিয়া বা র‍্যাশ হতে পারে।

লিভার ফাংশন পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ আবশ্যক। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে রক্তের সম্পূর্ণ রক্তকণিকা গণনা (সিবিসি) পরামর্শিত। ACME Laboratories Ltd প্রস্তুতকৃত এই সাসপেনশন শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

বৃক্কীয় অকার্যকারিতায় মাত্রা কমানো প্রয়োজন। শিশুদের ক্ষেত্রে ওজন অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করুন। লিভার রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সিরাম বিলিরুবিন মনিটরিং জরুরি।