কন্টেন্টে যান
Powder for Suspension ডোজ ফর্ম

অ্যাবাক পাউডার ফর সাসপেনশন ১২৫ মিগ্রা/৫ মিলি

জেনেরিক নাম:

ডোসেজ ফর্মস:

ওষুধের শ্রেণী:

প্রস্তুতকারক কোম্পানি:

সংরক্ষণ: সাসপেনশন তাজা তৈরি করতে হবে। পুনর্গঠিত সাসপেনশন ৭ দিন (কক্ষতাপমাত্রা) বা ১৪ দিন (রেফ্রিজারেটর) পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য। ইনজেকশন ২ ঘন্টার মধ্যে ব্যাবহার করুন

অ্যান্টিবায়োটিক

রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যবহার করবেন না

অ্যাবাক পাউডার ফর সাসপেনশন দাম

প্রতি পিস

৳৯৫

দ্রষ্টব্য: মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

অ্যাবাক পাউডার ফর সাসপেনশন এর কাজ কি?

অ্যাব্যাক পাউডার ফর সাসপেনশন হল কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড-এর উৎপাদিত একটি প্রথম প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক, যাতে রয়েছে সেফরাডিন (১২৫ মিগ্রা/৫ মিলি)। ৳৯৫.০০ মূল্যের এই পাউডার ফর সাসপেনশন শ্বাসতন্ত্র, মূত্রতন্ত্র ও ত্বকের সংক্রমণে কার্যকর।

গ্রাম-পজিটিভ ও গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, এমনকি পেনিসিলিন-প্রতিরোধী স্ট্রেইনেও কাজ করে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডোজ (২৫-১০০ মিগ্রা/কেজি/দিন) সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। রেকনস্টিটিউটেড সাসপেনশন ঘরের তাপমাত্রায় ৭ দিন ও ফ্রিজে ১৪ দিন ব্যবহারযোগ্য।

প্রধান ব্যবহার:

  • সাইনুসাইটিস, নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ
  • সিস্টাইটিস, পাইলোনেফ্রাইটিসের মতো মূত্রনালীর সমস্যা
  • ফোঁড়া, সেলুলাইটিসের মতো ত্বক ও নরম কলার সংক্রমণ

প্রোবেনেসিড বা ডাইইউরেটিকসের সাথে মিথস্ক্রিয়া সম্ভাবনা রয়েছে। পেটব্যথা, বমিভাব সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তবে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া বিরল। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন।

মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি

প্রাপ্তবয়স্ক: ২৫০-৫০০ মিগ্রা ৬ ঘণ্টা পরপর। শিশু: ২৫-৫০ মিগ্রা/কেজি/দিন ৪ বিভক্ত মাত্রায়। বৃক্কীয় অকার্যকারিতায় মাত্রা সমন্বয় প্রয়োজন। খাবারের সাথে বা ছাড়া সেব্য। চিকিৎসার মেয়াদ সংক্রমণের তীব্রতার উপর নির্ভর করে ৭-১৪ দিন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপাকীয় অসামঞ্জস্যতা ও অতিসংবেদনশীলতার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। অতিসংবেদনশীলতা সেই সব রােগীদের ক্ষেত্রেই বেশি লক্ষ্য করা যায় অথবা যাদের পূর্ব থেকেই অন্য ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, অ্যালার্জি, হাঁপানী, জ্বরজ্বর। ভাব, আর্টিকারিয়া (চুলকানী) ইত্যাদি সমস্যার ইতিহাস ছিল। মাঝে মাঝে ত্বকের প্রদাহের ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়।

বিরল বিরুপ প্রতিক্রিয়াসমূহঃ জিহ্বাতে ব্যথা, বুক জ্বালাপােড়া করা, ঝিমুনী, বুক চেপে আসা, বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, যােনীপ্রদাহ, ক্যান্ডিভিয়া ছত্রাকের অতি বংশবৃদ্ধি। ত্বকের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অতিসংবেদনশীলতার লক্ষণগুলাে হচ্ছে- চুলকানী (আর্টিকারিয়া), র্যাশ, অস্থিসন্ধির ব্যথা, হাতে পায়ে পানি জমা (ইডিমা)।

  • রক্ত ও লাসিকাতন্ত্রের সমস্যা: জানা যায়নি- রক্তের সমস্যা যেমন থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, এ্যাগ্র্যানুলােসাইটোসিস, এ্যাপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা), হেমােলাইটক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা)।
  • ইমিউন সিস্টেম সংক্রান্ত সমস্যা (রােগপ্রতিরােধতন্ত্রের সমস্যা): জানা যায়নি- জ্বর, সিরামসিকনেসের মত অবস্থা (দুর্বলতা), এ্যানাফাইলেটিক।
  • মনেরােগ সক্রান্ত সমস্যা: জানা যায়নি- দ্বিধাগ্রস্থতা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা।
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: অতিসক্রিয়তা, হাইপারটোনিয়া, ঝিমুনীভাব, ভীতি। বিরল সমস্যা: মাথা ব্যথা।
  • যকৃত ও পিত্তথলি সংক্রান্ত সমস্যা: পুনরাবৃত্তির হার জানা যায়নি- যকৃতের এনজাইমের সমস্যা, যকৃতে কোষের সাময়ীক প্রদাহ, পিত্ত ঘটিত জন্ডিস।
  • মূত্রতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা। জানা যায়নি: পরিবর্তনীয় নেফ্রন মধ্যবর্তী প্রদাহ/ সংক্রমণ।
  • পরীক্ষা নিরিক্ষা সংক্রান্ত: রক্তে ইউরিয়া নাইট্রোজেন, রক্তের ক্রিয়াটিনিন, এ্যালানিন এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, এ্যাসপার্টেট এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, টোটাল বিলিরুবিন, এ্যালকালাইন ফসফাটেস ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে পারে।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান

গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত (বিভাগ বি)। স্তন্যদানকালে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন – ওষুধটি বুকের দুধে নিঃসৃত হয়। নবজাতকের অন্ত্রীয় মাইক্রোবায়োমে প্রভাব ফেলতে পারে।

সতর্কতা ও সতর্কীকরণ

দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে সুপারইনফেকশন মনিটরিং প্রয়োজন। ক্রস-অ্যালার্জি ঝুঁকি আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। রেনাল ও হেপাটিক ফাংশন নিয়মিত পরীক্ষা করুন। মিথাইলেন টেট্রাজোলিয়াম থায়ামিন পরীক্ষায় মিথ্যা ফল আসতে পারে।

বিশেষ জনগোষ্ঠীতে ব্যবহার

বৃক্ক অকার্যকারিতায় মাত্রা কমানো প্রয়োজন (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <২০ মিলি/মিনিটে ৫০% ডোজ)। শিশুদের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম মাত্রা। লিভার ডিজিজে ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। বয়স্ক রোগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স পরীক্ষা আবশ্যক।

অতিরিক্ত মাত্রার প্রভাব

সেফরাডিনের মাত্রাতিরিক্ততার উপসর্গগুলাে সুনির্দিষ্ট নয় এবং সাধারনত বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা এবং পাকস্থলির সমস্যা হয়। মাত্রাতিরিক্ততার ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক এবং সহায়ক চিকিৎসা করা উচিত। যদি কোন ক্ষেত্রে অনেক বেশী পরিমানে গ্রহণের ঘটনা ঘটে তবে সেক্ষেত্রে পাকস্থলি পরিস্কার করতে হবে।

অ্যাবাক পাউডার ফর সাসপেনশন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

⚠️ ডিসক্লেইমার

আমরা মেডেক্সলিতে নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এই তথ্য কেবলমাত্র জ্ঞানের জন্য, কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের তথ্য বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইন্টারনেট, পাবলিক সোর্স এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়; সেই কারণে কিছু ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য কোনো আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমাদের লক্ষ্য আপনাকে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, ডাক্তারের ভূমিকা পালন করা নয়।

Cephradine জেনেরিকের অন্যান্য ওষুধ

Chemist Laboratories Ltd থেকে আরও ওষুধসমূহ

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা - জেনেরিক নাম, ব্র্যান্ড, ডোজ ফর্ম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভিত্তিতে