কন্টেন্টে যান
Capsule ডোজ ফর্ম

অ্যাবাক ক্যাপসুল ৫০০ মিগ্রা

জেনেরিক নাম:

ডোসেজ ফর্মস:

ওষুধের শ্রেণী:

প্রস্তুতকারক কোম্পানি:

সংরক্ষণ: অ্যাবাক সাসপেনশন প্রস্তুতের পর তাজা ব্যবহার করুন। পুনর্গঠিত সাসপেনশন ঘরের তাপমাত্রায় ৭ দিন ও রেফ্রিজারেটরে ১৪ দিন সংরক্ষণ করুন। ইনজেকশন দ্রবণ ঘরের তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টা ও ৫°C তে ১২ ঘণ্টা ব্যবহারযোগ্য। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যবহার নিষিদ্ধ। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

অ্যান্টিবায়োটিক

রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যবহার করবেন না

অ্যাবাক ক্যাপসুল দাম

প্রতি পিস

৳১২.৫০

প্রতি স্ট্রিপ

৳৫০

প্রতি প্যাক

৳৫০০

প্যাক সাইজ

১০ x ৪

দ্রষ্টব্য: মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

অ্যাবাক ক্যাপসুল এর কাজ কি?

আবাক ক্যাপসুল, সেফরাডিন ৫০০ মিগ্রা সমৃদ্ধ, কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড প্রস্তুতকারক একটি প্রথম প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক। এই ক্যাপসুল শ্বাসতন্ত্র, মূত্রতন্ত্র ও ত্বকের সংক্রমণে কার্যকর। ইউনিট মূল্য ৳১২.৫০ সহ সাশ্রয়ী প্যাক বিকল্প (১০×৪ ক্যাপসুল ৳৫০০) উপলব্ধ।

ওষুধটি ব্যাক্টেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠন বাধাগ্রস্ত করে কাজ করে, বিশেষত পেনিসিলিনেজ উৎপাদনকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে। সাইনুসাইটিস, নিউমোনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ ও ফোঁড়ায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ নির্ধারিত হয় সংক্রমণের তীব্রতা ও স্থান অনুযায়ী।

সংরক্ষণে সতর্কতা আবশ্যক: রিকনস্টিটিউটেড সাসপেনশন কক্ষ তাপমাত্রায় ৭ দিন বা ফ্রিজে ১৪ দিন ব্যবহারযোগ্য। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে পাতলা পায়খানা, চুলকানি ও রক্তের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেনিসিলিন অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে সতর্কতা প্রয়োজন।

আবাক ১২৫ মিগ্রা/৫ মিলি সাসপেনশনসহ বিভিন্ন ডোজ ফর্মে পাওয়া এই অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার নমনীয়তা প্রদান করে। গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক। কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ-এর গুণগত মান বজায় রেখে প্রস্তুতকৃত এই ওষুধ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি

প্রাপ্তবয়স্ক: ২৫০-৫০০ মিগ্রা ৬ ঘণ্টা অন্তর। শিশু: ২৫-৫০ মিগ্রা/কেজি/দিন ৪ ডোজে। বৃক্কের সমস্যায় ডোজ adjustment: CrCl ৫-২০ ml/min-এ ২৫০ মিগ্রা ১২ ঘণ্টা অন্তর। চিকিৎসার মেয়াদ: সংক্রমণ নিরাময়ের পর ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চালিয়ে যান।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপাকীয় অসামঞ্জস্যতা ও অতিসংবেদনশীলতার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। অতিসংবেদনশীলতা সেই সব রােগীদের ক্ষেত্রেই বেশি লক্ষ্য করা যায় অথবা যাদের পূর্ব থেকেই অন্য ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, অ্যালার্জি, হাঁপানী, জ্বরজ্বর। ভাব, আর্টিকারিয়া (চুলকানী) ইত্যাদি সমস্যার ইতিহাস ছিল। মাঝে মাঝে ত্বকের প্রদাহের ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়।

বিরল বিরুপ প্রতিক্রিয়াসমূহঃ জিহ্বাতে ব্যথা, বুক জ্বালাপােড়া করা, ঝিমুনী, বুক চেপে আসা, বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, যােনীপ্রদাহ, ক্যান্ডিভিয়া ছত্রাকের অতি বংশবৃদ্ধি। ত্বকের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অতিসংবেদনশীলতার লক্ষণগুলাে হচ্ছে- চুলকানী (আর্টিকারিয়া), র্যাশ, অস্থিসন্ধির ব্যথা, হাতে পায়ে পানি জমা (ইডিমা)।

  • রক্ত ও লাসিকাতন্ত্রের সমস্যা: জানা যায়নি- রক্তের সমস্যা যেমন থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, এ্যাগ্র্যানুলােসাইটোসিস, এ্যাপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা), হেমােলাইটক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা)।
  • ইমিউন সিস্টেম সংক্রান্ত সমস্যা (রােগপ্রতিরােধতন্ত্রের সমস্যা): জানা যায়নি- জ্বর, সিরামসিকনেসের মত অবস্থা (দুর্বলতা), এ্যানাফাইলেটিক।
  • মনেরােগ সক্রান্ত সমস্যা: জানা যায়নি- দ্বিধাগ্রস্থতা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা।
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: অতিসক্রিয়তা, হাইপারটোনিয়া, ঝিমুনীভাব, ভীতি। বিরল সমস্যা: মাথা ব্যথা।
  • যকৃত ও পিত্তথলি সংক্রান্ত সমস্যা: পুনরাবৃত্তির হার জানা যায়নি- যকৃতের এনজাইমের সমস্যা, যকৃতে কোষের সাময়ীক প্রদাহ, পিত্ত ঘটিত জন্ডিস।
  • মূত্রতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা। জানা যায়নি: পরিবর্তনীয় নেফ্রন মধ্যবর্তী প্রদাহ/ সংক্রমণ।
  • পরীক্ষা নিরিক্ষা সংক্রান্ত: রক্তে ইউরিয়া নাইট্রোজেন, রক্তের ক্রিয়াটিনিন, এ্যালানিন এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, এ্যাসপার্টেট এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, টোটাল বিলিরুবিন, এ্যালকালাইন ফসফাটেস ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে পারে।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান

গর্ভাবস্থায় B শ্রেণী (প্রাণী ডাটা অনুযায়ী নিরাপদ)। স্তন্যদানকালে সতর্কতা: দুধে নিঃসৃত হয়। নবজাতকের অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ব্যাঘাত সম্ভাবনা।

সতর্কতা ও সতর্কীকরণ

ক্রনিক কিডনি রোগে ডোজ সংশোধন প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে সুপারইনফেকশন মনিটরিং। ডায়রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসা বন্ধ করুন। রক্তসম্বন্ধীয় পরামিতি নিয়মিত চেক করুন।

বিশেষ জনগোষ্ঠীতে ব্যবহার

শিশু: মধ্যকর্ণের প্রদাহে ৭৫-১০০ মিগ্রা/কেজি/দিন। বৃদ্ধ: ক্রিয়াটিনিন ক্লিয়ারেন্স পরীক্ষা আবশ্যক। যকৃতের অসুখ: বিশেষ ডোজ adjustment প্রয়োজন নেই। ডায়ালাইসিস রোগী: প্রতিটি সেশনের পর ২৫০ মিগ্রা ডোজ দিন।

অতিরিক্ত মাত্রার প্রভাব

সেফরাডিনের মাত্রাতিরিক্ততার উপসর্গগুলাে সুনির্দিষ্ট নয় এবং সাধারনত বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা এবং পাকস্থলির সমস্যা হয়। মাত্রাতিরিক্ততার ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক এবং সহায়ক চিকিৎসা করা উচিত। যদি কোন ক্ষেত্রে অনেক বেশী পরিমানে গ্রহণের ঘটনা ঘটে তবে সেক্ষেত্রে পাকস্থলি পরিস্কার করতে হবে।

অ্যাবাক ক্যাপসুল নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

⚠️ ডিসক্লেইমার

আমরা মেডেক্সলিতে নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এই তথ্য কেবলমাত্র জ্ঞানের জন্য, কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের তথ্য বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইন্টারনেট, পাবলিক সোর্স এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়; সেই কারণে কিছু ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য কোনো আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমাদের লক্ষ্য আপনাকে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, ডাক্তারের ভূমিকা পালন করা নয়।

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা - জেনেরিক নাম, ব্র্যান্ড, ডোজ ফর্ম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভিত্তিতে