এবডোল্যাক্স ম্যাক্স ওরাল সল্যুশন ৭.৫ মিলিগ্রাম/মিলি

এবডোল্যাক্স ম্যাক্স ওরাল সল্যুশন, যাতে সোডিয়াম পিকোসালফেট ৭.৫ মি.গ্রা./মি.লি. রয়েছে, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুতকৃত একটি স্টিমুল্যান্ট ল্যাক্সেটিভ। ৳১৭৫.০০ মূল্যের এই ওরাল সল্যুশন দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য ও অপারেশন-পূর্ব অন্ত্র পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। শিশু (৪+ বছর) ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য।

এই সোডিয়াম পিকোসালফেট ঔষধ বৃহদান্ত্রের স্নায়ুকে সক্রিয় করে পানি শোষণ ও পেরিস্টালসিস বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয়/তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ব্যবহারযোগ্য। সংরক্ষণ করুন ৩০°C এর নিচে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে। ওরাল সল্যুশন ফর্মুলা অন্যান্য ব্র্যান্ড যেমন এবডোল্যাক্স ১০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।

ডোজ নির্দেশিকা:

• প্রাপ্তবয়স্ক: রাতে ৫-১০ মি.লি. (১-২ চামচ)
• শিশু (৪-১০ বছর): ২.৫-৫ মি.লি.
• শিশু (<৪ বছর): ০.২৫ মি.লি./কেজি

অতিরিক্ত ব্যবহারে ইলেকট্রোলাইট অসামঞ্জস্য বা কিডনি জটিলতা দেখা দিতে পারে। ডাই-ইউরেটিকসের সাথে সতর্কতা প্রয়োজন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা উল্লেখযোগ্য। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এড়িয়ে চলুন। বিকল্প ঔষধের জন্য সোডিয়াম পিকোসালফেট ব্র্যান্ড দেখুন। এবডোল্যাক্স ম্যাক্স ব্যবহারের নিয়ম জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রাত্রে ৫-১০ মিলি (১-২ চামচ)। ৪-১০ বছর বয়সী শিশুরা ২.৫-৫ মিলি নেবে। ৪ বছরের কম বয়সীদের জন্য ০.২৫ মিলি/কেজি। ৭ দিনের বেশি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ওরাল সল্যুশন সরাসরি বা পানি মিশিয়ে খান।

অতিসংবেদনশীলতা, মাথা ঘােরা, সাময়িক সংজ্ঞাহীনতা, ভ্যাসােভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া, পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা, ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা এবং বমি বমি ভাব।

গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যবহার নিষেধ। স্তন্যদানকালে নিরাপদ। সোডিয়াম পিকোসালফেট দুধে ক্ষরণ হয় না।

লিভার রোগী, মৃগী রোগী ও বয়স্কদের রক্তে ইলেক্ট্রোলাইট মনিটরিং আবশ্যক। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।

শিশুদের বয়সানুযায়ী ডোজ প্রয়োগ করুন। কিডনি/লিভার রোগে ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন। বয়স্কদের নিম্ন ডোজ শুরু করুন।

অতি মাত্রায় দীর্ঘদিন ল্যাক্সেটিভ গ্রহন করলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা, হাইপােক্যালেমিয়া, সেকেন্ডারি হাইপার-অ্যালডােস্টেরােনিজম এবং রেনাল ক্যালকুলি হতে পারে। দীর্ঘদিন ল্যাক্সেটিভ অপব্যবহারের ফলে রেনাল টিউবুলার ড্যামেজ, মেটাবলিক অ্যালকালােসিস এবং সেকেন্ডারি পেশী দুর্বলতা থেকে হাইপােক্যালেমিয়া হতে পারে।