এসিবিড ট্যাবলেট ১০০ মি.গ্রা.

এসিবিড হলো এসিক্লোফেনাক ১০০ মি.গ্রা. সমৃদ্ধ একটি এনএসএআইডি, যা বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বারা উৎপাদিত। এই ট্যাবলেট অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও পেশীব্যথায় কার্যকর। ইউনিট প্রাইস ৳৪.০১ এবং প্রতি স্ট্রিপ (১০ ট্যাবলেট) মূল্য ৳৪০.১০। এক্সটেন্ডেড রিলিজ ফর্মুলায় দিনে এক বার ডোজ সুবিধা রয়েছে।

সাইক্লোঅক্সিজিনেজ-২ প্রতিরোধের মাধ্যমে এসিবিড প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন উৎপাদন কমিয়ে প্রদাহ ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে। মুখে সেবনের ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে পৌঁছায়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রস্তাবিত ডোজ: সাধারণ ট্যাবলেট দিনে ২ বার, এক্সটেন্ডেড ট্যাবলেট দিনে ১ বার। কিডনি রোগে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

সতর্কতাসমূহ:

• লিথিয়াম/ডিগক্সিন: প্লাজমা ঘনত্ব বাড়িয়ে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে
• ডাইইউরেটিক্স: রেচন ক্ষমতা হ্রাস
• রক্তপাতের ঔষধ: রক্তঝড়ানির ঝুঁকি বৃদ্ধি
• মিথোট্রিক্সেট: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তীব্রতা

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পেটব্যথা, বমিভাব দেখা দিলে চিকিৎসককে জানান।

গর্ভাবস্থায় এসিবিড এড়ানো উত্তম। এসিবিড ট্যাবলেট দাম সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়। বীকন ফার্মার গুণগত মান নিশ্চিত করে এই ঔষধের নির্ভরযোগ্যতা। এসিক্লোফেনাক বিকল্প প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট: দিনে ১ বার ২০০ মিগ্রা। ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট: ১০০ মিগ্রা দিনে ২ বার। কিডনি বা লিভার রোগে মাত্রা সমন্বয় প্রয়োজন। খাবারের পর সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ১০ দিনের বেশি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অধিকাংশই কম গুরুত্বপূর্ণ স্বভাবের এবং ক্ষণস্থায়ী। এইগুলো হলোঃ বদহজম, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, ফুসকুরি এবং আর্টিক্যারিয়া।

গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্তন্যদানকালে ব্যবহার না করা ভালো। বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুতকারক ব্যবহার নির্দেশিকা মেনে চলুন।

৬০ বছরের ঊর্ধ্বে রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা অর্ধেক করুন। রক্তপাতের ব্যাধি থাকলে নিয়মিত CBC মনিটরিং প্রয়োজন। গ্যাস্ট্রিক মিউকোসা রক্ষাকারী ওষুধ সহ প্রয়োগ করুন।

শিশুদের ব্যবহারে নিরাপত্তা তথ্য নেই। বৃদ্ধ ও যকৃতের রোগীদের মাত্রা কমিয়ে দিন। ক্রনিক কিডনি রোগে (GFR <30) ব্যবহার নিষেধ।