এসিক্লোসিক ট্যাবলেট ১০০ মিগ্রা

এসিক্লোসিক ট্যাবলেট হল এসিক্লোফেনাক সমৃদ্ধ একটি নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ঔষধ। ফিজিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ট্যাবলেট অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং তীব্র ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। প্রতি ট্যাবলেটের দাম ৳৪.৫০ এবং স্ট্রিপ প্রাইস ৳৪৫.০০ সহ এটি সাশ্রয়ী চিকিৎসা প্রদান করে।

এটি সাইক্লোঅক্সিজিনেজ এনজাইমকে প্রতিহত করে প্রদাহ কমায়। প্রাপ্তবয়স্করা দিনে একবার ২০০ মিগ্রা এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট বা ১০০ মিগ্রা ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এসিক্লোসিক ট্যাবলেট ব্যবহারের নিয়ম জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পেটে ব্যথা, বমি ভাব এবং ত্বকে র্যাশ সাধারণ এসিক্লোসিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। লিথিয়াম বা রক্ততরলীকরণ ঔষধের সাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। শিশুদের নাগালের বাইরে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের সুপারিশ ছাড়া ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এই ঔষধ সম্পর্কে আরো জানতে এসিক্লোফেনাক জেনেরিক পেজ ভিজিট করুন। মূল্য সহনশীলতা ও কার্যকারিতার কারণে এসিক্লোসিক ১০০ মিগ্রা বাংলাদেশে অস্থিসন্ধির চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ট্যাবলেট ফর্ম: দিনে ১০০ মিগ্রা ২ বার বা ২০০ মিগ্রা একক ডোজ (এক্সটেন্ডেড রিলিজ)। কিডনি/যকৃতের রোগে ডোজ adjustment প্রয়োজন। খাবারের পর সেবন করুন। চিকিৎসক কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করুন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অধিকাংশই কম গুরুত্বপূর্ণ স্বভাবের এবং ক্ষণস্থায়ী। এইগুলো হলোঃ বদহজম, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, ফুসকুরি এবং আর্টিক্যারিয়া।

গর্ভাবস্থায় ডি ক্যাটাগরি (তৃতীয় ত্রৈমাসিকে নিষিদ্ধ)। স্তন্যদানকালে ব্যবহার না করা উত্তম। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করবেন না।

৬৫+ বয়সীদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাতের উচ্চ ঝুঁকি। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে রক্তনালীর কার্যকারিতা ও কিডনি ফাংশন মনিটর করুন। অ্যাজমা রোগীদের ব্রোঙ্কোস্পাজম এড়াতে সতর্কতা।

বাচ্চাদের ব্যবহারে নিরাপত্তা অজানা। বৃদ্ধদের ডোজ কমিয়ে দিন। কিডনি রোগে (GFR <30) ব্যবহার না করা ভালো। যকৃতের রোগে ডোজ ব্যবধান ১২-২৪ ঘন্টা।