এসিফ্রা ক্যাপসুল ৫০০ মিলিগ্রাম

এসেফ্রা ক্যাপসুল, সেফরাডিন সমৃদ্ধ ৫০০ মিগ্রা শক্তির একটি প্রথম প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যাপোলো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুতকারী এই ক্যাপসুল-এর মূল্য ৳১২.০০ প্রতি ইউনিট (২০ টি প্যাক: ৳২৪০.০০)। শ্বাসতন্ত্র, মূত্রনালী ও ত্বকের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে উচ্চ কার্যকরী।

ওষুধটি গ্রাম-পজিটিভ ও নেগেটিভ উভয় ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, বিশেষত পেনিসিলিন প্রতিরোধী স্ট্রেইনে। কোষপ্রাচীর সংশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত করে জীবাণু ধ্বংস করে। সাইনুসাইটিস, নিউমোনিয়া, মূত্রথলির ইনফেকশন ও ফোঁড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ডোজ নির্দেশনা:

• প্রাপ্তবয়স্ক: ২৫০-৫০০ মিগ্রা ৬ ঘণ্টা পরপর/৫০০ মিগ্রা-১ গ্রাম দিনে দুবার
• শিশু: ২৫-১০০ মিগ্রা/কেজি ওজন অনুযায়ী বিভক্ত মাত্রায়
• বয়স্ক: কিডনির কার্যকারিতা বিবেচনায় ডোজ সমন্বয়

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে পাতলা পায়খানা, বমিভাব ও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। লুপ ডাইইউরেটিকের সাথে ব্যবহারে বৃক্কের ক্ষতি বাড়ে। গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে সতর্কতা প্রয়োজন। অতিমাত্রায় সেবনে পাকস্থলি পরিষ্কারসহ উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রাপ্তবয়স্কঃ ৫০০ মিগ্রা ৬ ঘণ্টা পরপর। শিশুঃ ২৫-৫০ মিগ্রা/কেজি/দিন ৪ ডোজে। বৃক্কের অসুখে ক্রিয়াটিনিন ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী মাত্রা কমানো প্রয়োজন। চিকিৎসার মেয়াদ সংক্রমণের ধরন অনুসারে ৭-১৪ দিন। খাবারের পর সেবন করলে শোষণে বাধা পড়ে না।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপাকীয় অসামঞ্জস্যতা ও অতিসংবেদনশীলতার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। অতিসংবেদনশীলতা সেই সব রােগীদের ক্ষেত্রেই বেশি লক্ষ্য করা যায় অথবা যাদের পূর্ব থেকেই অন্য ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, অ্যালার্জি, হাঁপানী, জ্বরজ্বর। ভাব, আর্টিকারিয়া (চুলকানী) ইত্যাদি সমস্যার ইতিহাস ছিল। মাঝে মাঝে ত্বকের প্রদাহের ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়।

বিরল বিরুপ প্রতিক্রিয়াসমূহঃ জিহ্বাতে ব্যথা, বুক জ্বালাপােড়া করা, ঝিমুনী, বুক চেপে আসা, বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, যােনীপ্রদাহ, ক্যান্ডিভিয়া ছত্রাকের অতি বংশবৃদ্ধি। ত্বকের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অতিসংবেদনশীলতার লক্ষণগুলাে হচ্ছে- চুলকানী (আর্টিকারিয়া), র্যাশ, অস্থিসন্ধির ব্যথা, হাতে পায়ে পানি জমা (ইডিমা)।

• রক্ত ও লাসিকাতন্ত্রের সমস্যা: জানা যায়নি- রক্তের সমস্যা যেমন থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, এ্যাগ্র্যানুলােসাইটোসিস, এ্যাপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা), হেমােলাইটক এ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা)।
• ইমিউন সিস্টেম সংক্রান্ত সমস্যা (রােগপ্রতিরােধতন্ত্রের সমস্যা): জানা যায়নি- জ্বর, সিরামসিকনেসের মত অবস্থা (দুর্বলতা), এ্যানাফাইলেটিক।
• মনেরােগ সক্রান্ত সমস্যা: জানা যায়নি- দ্বিধাগ্রস্থতা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা।
• স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: অতিসক্রিয়তা, হাইপারটোনিয়া, ঝিমুনীভাব, ভীতি। বিরল সমস্যা: মাথা ব্যথা।
• যকৃত ও পিত্তথলি সংক্রান্ত সমস্যা: পুনরাবৃত্তির হার জানা যায়নি- যকৃতের এনজাইমের সমস্যা, যকৃতে কোষের সাময়ীক প্রদাহ, পিত্ত ঘটিত জন্ডিস।
• মূত্রতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা। জানা যায়নি: পরিবর্তনীয় নেফ্রন মধ্যবর্তী প্রদাহ/ সংক্রমণ।
• পরীক্ষা নিরিক্ষা সংক্রান্ত: রক্তে ইউরিয়া নাইট্রোজেন, রক্তের ক্রিয়াটিনিন, এ্যালানিন এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, এ্যাসপার্টেট এ্যামিনােট্রান্সফেরেস, টোটাল বিলিরুবিন, এ্যালকালাইন ফসফাটেস ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় নিরাপদতা নিশ্চিত নয়, চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন। বুকের দুধে নিঃসৃত হয়, তাই স্তন্যদানকালে সতর্কতা প্রয়োজন। শিশুর মধ্যে ডায়রিয়া বা র্যাশ দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন।

দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। পেনিসিলিন অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে পরীক্ষা করে নিন। ডায়ালিসিস রোগীদের বিশেষ মাত্রা নির্দেশিকা অনুসরণ করুন। লিভার এনজাইম নিয়মিত মনিটর করুন।

বৃক্কের রোগঃ ক্রিয়াটিনিন ক্লিয়ারেন্স ২০ মিলি/মিনিটের নিচে মাত্রা কমানো প্রয়োজন। শিশুঃ ওজন অনুযায়ী সঠিক মাত্রা নির্ণয় জরুরি। বয়স্কঃ বৃক্কের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে মাত্রা দিন। লিভার রোগঃ বিশেষ মনিটরিং প্রয়োজন।

সেফরাডিনের মাত্রাতিরিক্ততার উপসর্গগুলাে সুনির্দিষ্ট নয় এবং সাধারনত বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানা এবং পাকস্থলির সমস্যা হয়। মাত্রাতিরিক্ততার ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক এবং সহায়ক চিকিৎসা করা উচিত। যদি কোন ক্ষেত্রে অনেক বেশী পরিমানে গ্রহণের ঘটনা ঘটে তবে সেক্ষেত্রে পাকস্থলি পরিস্কার করতে হবে।