এ্যাসিপ্রো ট্যাবলেট ১০০ মি.গ্রা.

এ্যাসিপ্রো ট্যাবলেট, দি হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রস্তুতকৃত, এতে সক্রিয় উপাদান হিসেবে রয়েছে এসিক্লোফেনাক ১০০ মি.গ্রা.। এই নন-স্টেরয়েডাল প্রদাহরোধী ঔষধ অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, দাঁতের ব্যথা এবং আঘাতজনিত প্রদাহে ব্যবহৃত হয়। প্রতি ট্যাবলেটের মূল্য ৳৪.৫০ (৫০ টির প্যাক: ৳২২৫.০০) সহজলভ্য দামে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়।

এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট দিনে একবার (২০০ মি.গ্রা.) সেব্য, আর ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট দিনে দুবার (১০০ মি.গ্রা.) নিতে হয়। এটি সাইক্লোঅক্সিজিনেজ এনজাইমকে বাধা দিয়ে প্রোস্ট্যাগ্ল্যান্ডিন উৎপাদন কমায়, ফলে ব্যথা ও ফোলা উপশম হয়। ডাইইউরেটিক্স বা রক্তজমাটবিরোধী ঔষধের সাথে ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে পেটখারাপ, বমিভাব বা চুলকানি দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক। অন্যান্য ট্যাবলেট ভিত্তিক NSAIDs এর তথ্যের জন্য ভিজিট করুন। দক্ষতা ও সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে এ্যাসিপ্রো বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয়।

এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট: দিনে ১ বার ২০০ মিগ্রা। ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট: ১০০ মিগ্রা দিনে ২ বার। কিডনি বা লিভার সমস্যায় মাত্রা কমানো প্রয়োজন। খাবারের পর পূর্ণ গ্লাস পানি সহ সেব্য। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ১০ দিনের বেশি ব্যবহার না করা ভালো।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অধিকাংশই কম গুরুত্বপূর্ণ স্বভাবের এবং ক্ষণস্থায়ী। এইগুলো হলোঃ বদহজম, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, ফুসকুরি এবং আর্টিক্যারিয়া।

গর্ভাবস্থার ডি ক্যাটাগরির ঔষধ। প্রথম ৬ মাসে শুধুমাত্র অত্যন্ত প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। স্তন্যদানকালে ব্যবহার নিষেধ, কারণ দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে যেতে পারে।

৬০ ঊর্ধ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রা ব্যবহার করুন। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে রক্তের ক্রিয়েটিনিন ও লিভার ফাংশন পরীক্ষা করুন। গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলুন কারণ মাথাঘোরার সম্ভাবনা থাকে।

বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ মাত্রা প্রতিষ্ঠিত নয়। বৃদ্ধদের কিডনি ফাংশন পরীক্ষা আবশ্যক। লিভার সিরোসিসে ৫০% মাত্রা কমানো উচিত। ডায়ালিসিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজ ব্যবধান ১২ ঘণ্টার বেশি রাখুন।