এসিরিল ট্যাবলেট ৫ মি.গ্রা.

এসিরিল ট্যাবলেট হলো ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুতকৃত র‍্যামিপ্রিল (৫ মি.গ্রা.) সমৃদ্ধ একটি কার্ডিওভাস্কুলার ঔষধ। প্রতি ইউনিট ৳৮.০০ এবং স্ট্রিপ মূল্য ৳৮০.০০ সহ এই ট্যাবলেট উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবিভ্রাট ও জটিলতা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।

এসিই ইনহিবিটর হিসাবে এটি রক্তনালী প্রসারিত করে রক্তচাপ কমায়। হৃদরোগ পরবর্তী চিকিৎসা, ডায়াবেটিক কিডনি রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে নির্দেশিত। প্রাথমিক মাত্রা ১.২৫ মি.গ্রা. থেকে শুরু করে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত প্রয়োগ করা যায়।

প্রধান ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিয়র ব্যবস্থাপনা এবং রক্তসংবহনতান্ত্রিক জটিলতা প্রতিরোধ। ঔষধটি ৩০°C তাপমাত্রার নিচে আলো থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাথা ঘোরা, কাশি দেখা দিতে পারে।

এসিরিল ট্যাবলেট ব্যবহারের নিয়ম অনুসারে প্রাথমিকভাবে ১.২৫ মি.গ্রা. মাত্রায় শুরু করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে হবে। মূত্রবর্ধক বা NSAIDs এর সাথে সমন্বয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে নিষিদ্ধ।

সাশ্রয়ী মূল্যের এই ঔষধ (৩০ টির প্যাক: ৳২৪০.০০) দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় সুফল প্রদান করে। অন্যান্য র‍্যামিপ্রিল ব্র্যান্ড ও সম্পর্কিত চিকিৎসা পেতে মেডেক্সলিতে যোগাযোগ করুন।

প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপে প্রাথমিক মাত্রা ১.২৫-২.৫ মিগ্রা/দিন, সর্বোচ্চ ২০ মিগ্রা/দিন। হার্ট ফেইলিউর রোগীদের ক্ষেত্রে ২.৫ মিগ্রা দিনে দুইবার শুরু করে逐步递增। বৃক্কের সমস্যায় প্রারম্ভিক মাত্রা ১.২৫ মিগ্রা/দিন। ট্যাবলেট সকালে খালি পেটে বা খাবারের সাথে গিলে খেতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রা পরিবর্তন নিষিদ্ধ।

সাধারণতঃ র‍্যামিপ্রিল সুসহনীয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে মাথা ঝিম্‌ঝিম করা, মাথাব্যাথা, মাংসপেশীর দূর্বলতা এবং অবসাদ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া কখনও কদনও সিম্পটমেটিক নিম্নরক্তচাপ, কাশি, বমিবমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, র‍্যাশ, আর্টিকারিয়া, মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া, উৎকণ্ঠা, স্মৃতিভ্রম ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। খুব বিরলক্ষেত্রে এনজিওনিউরোটিক ইডিমা, এ্যানাফাইলেকটিক রিয়াকশান এবং হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ‘ডি’ ক্যাটাগরির ওষুধ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ব্যবহারে ভ্রূণের কিডনি ক্ষতি ও অন্যান্য জটিলতা হয়। স্তন্যদানকালে ব্যবহারে শিশুর রেনাল সিস্টেমে প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে বিকল্প থেরাপি নিন।

ডিহাইড্রেশন থাকলে রক্তে ইউরিয়া/ক্রিয়েটিনিন মনিটর করুন। সার্জারির আগে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখুন। লবণযুক্ত খাবার কম খান। প্রথম ডোজ পর ২-৮ ঘণ্টা শুয়ে থাকুন। বছরে ২ বার renal function টেস্ট করুন। হাইপোটেনশন এড়াতে ডোজ টাইট্রেশন ধীরে করুন।

বৃদ্ধদের শুরুতে ১.২৫ মিগ্রা/দিন দিতে হবে। কিডনি রোগীর creatinine clearance <৪০ mL/min হলে মাত্রা অর্ধেক করুন। লিভার সিরোসিসে সর্বোচ্চ ২.৫ মিগ্রা/দিন। শিশুদের নিরাপত্তা প্রমাণিত নয়।

লক্ষণ এবং উপসর্গ: মাত্রাতিরিক্ততা কারণে পার্শ্বীয় ধমনীর অধিক প্রসারণ, (সাথে উল্লেখ্যযোগ্য নিম্ন রক্তচাপ, শক), ব্রাডিকার্ডিয়ার (স্বাভাবিকের চেয়ে কম হৃদস্পন্দন), ইলেক্ট্রোলাইটের অসামঞ্জস্যতা এবং কিডনীর অকার্যকারীতা।

ব্যবস্থাপনা: প্রাথমিকভাবে কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষাক্ততা অপসারণ করতে হবে যেমন সম্ভব হলে প্রথম ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে পাকস্থলী ধৌতকরা, ওষুধটি শোষণ করতে পারে এমন উপাদান যেমন-সোডিয়াম সালফেট প্রয়োগ। নিন্মরক্তচাপের মত ঘটনার ক্ষেত্রে আলফা১-এ্যাড্রেনারজিক এ্যাগোনিস্টস (যেমন নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিন) অথবা এ্যানজিওটেনসিন ২ (এ্যানজিওটেনসিনামাইড), যা সাধারণত, কেবল বিক্ষিপ্ত কিছু গবেষনাগারে পাওয়া যায় তা প্রয়োগ করা। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত তরল এবং লবণ প্রতিস্থাপন করতে হবে।