এসিপাম ট্যাবলেট ১০ মিলিগ্রাম

এসিপাম হলো এস্সি‌টালােপ্ৰাম অক্সালেট সমৃদ্ধ একটি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ। ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বারা উৎপাদিত এই ট্যাবলেটের প্রতি ইউনিট দাম ৳১০.০০। প্যাক সাইজ ৩x১০ (৳৩০০.০০) বা স্ট্রিপ (৳১০০.০০) এ পাওয়া যায়। ট্যাবলেট ফর্মের এই ঔষধ ৩০°C এর নিচে আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন।

এসিপাম প্রধান হতাশাজনক ব্যাধি, প্যানিক ডিসঅর্ডার (আ্যাগ্রোফোবিয়া সহ/ছাড়া), সামাজিক উদ্বেগ, সাধারণ উদ্বেগ ও অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডারে ব্যবহৃত হয়। এসএসআরআই গ্রুপের এই ঔষধ মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বমি, মাথাব্যথা, বা যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।

ডোজ ব্যবস্থাপনা: হতাশার জন্য দৈনিক ১০ মিগ্রা, সর্বোচ্চ ২০ মিগ্রা পর্যন্ত। প্যানিক ডিসঅর্ডারে প্রথম সপ্তাহে ৫ মিগ্রা দিয়ে শুরু করুন। উপকারিতা পেতে ২–৪ সপ্তাহ লেগে পারে। লক্ষণ নিরাময়ের পর কমপক্ষে ৬ মাস চিকিৎসা চালিয়ে যান। গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সতর্কতা: এমএওআই ওষুধের সাথে ব্যবহার নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত মাত্রায় সেরোটোনিন সিন্ড্রোম বা খিঁচুনি হতে পারে। LSI কীওয়ার্ড: এসিপাম ব্যবহার, Acipam পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এসিপাম দাম।

এস্সি‌টালােপ্ৰাম অক্সালেট সম্পর্কে আরও জানুন অথবা ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস এর অন্যান্য পণ্য দেখুন। ঔষধের ব্যবহার সংক্রান্ত যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রারম্ভিক ডোজ ১০ মিগ্রা দৈনিক, সর্বোচ্চ ২০ মিগ্রা পর্যন্ত। বৃদ্ধরা শুরু করেন ৫ মিগ্রা দিয়ে। কিডনি ও লিভার রোগে ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন। খাবারের সাথে বা ছাড়া সেবনযোগ্য। হতাশার চিকিৎসা কমপক্ষে ৬ মাস চালিয়ে যেতে হবে।

এসএসআরআই কম সিডেটিভ এবং ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের চেয়ে কম এ্যান্টিমাসকারিনিক এবং কার্ডিওটক্সিক। এসএসআরআই-এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল (মাত্রা সম্পর্কিত অথবা মাঝে মাঝে বমি, বমি বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য), এনােরেক্সিয়া সহ ওজন কমা (রুচি এবং ওজন বৃদ্ধির উল্লেখ রয়েছে), এবং অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যেমন র‍্যাশ, আর্টিকারিয়া, এ্যানজিওইডিমা, এ্যানাফাইলেক্সিস, আর্থালজিয়া, মায়ালজিয়া, এবং আলাে সংবেদনশীলতা; অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে শুষ্ক মুখ, স্নায়ু দুর্বলতা, এ্যাংজাইটি, মাথা ব্যথা, ইনসােমনিয়া, ট্রিমর, ডিজিনেজ, এসথেনিয়া, হেলােসিনেশন, মাথা ঘােরা, কনভালশন, গ্যালাকটোরিয়া, সেক্সুয়াল অকার্যকারিতা, ইউরিনারি রিটেনশন, ঘাম, হাইপােমেনিয়া অথবা মেনিয়া, নড়াচড়ায় সমস্যা, এবং ডিসকাইনেসিয়া, দৃষ্টি সমস্যা।

গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করুন (C শ্রেণী)। স্তন্যদানকালে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শে দুগ্ধদান বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মৃগী, লিভার রোগ, রক্তপাতের প্রবণতা থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। নিয়মিত ইসিজি ও লিভার ফাংশন টেস্ট করুন। আত্মহত্যা প্রবণতা যাচাই করুন প্রথম ২ মাস।

শিশুদের জন্য অনুমোদিত নয়। বৃদ্ধরা ৫ মিগ্রা দিয়ে শুরু করুন। কিডনি রোগে ডোজ পরিবর্তন না করলেও চলে। লিভার রোগে প্রারম্ভিক ডোজ অর্ধেক করুন।

লক্ষণ: এস্সি‌টালােপ্রামের অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা যাওয়া লক্ষণগুলির মধ্যে প্রধানত কেন্দ্রীয় ন্সায়ুতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত মাথাব্যথা (মাথা ঘোরা, কাঁপুনি এবং আন্দোলন থেকে বিরল ক্ষেত্রে সেরোটোনিন সিন্ড্রোম, খিঁচুনি, এবং কোমা) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেম (বমিবমি ভাব/বমি) এবং ও ভাসকুলার সম্পর্কিত লক্ষণগুলি অন্তর্ভূক্ত থাকে সিস্টেম (হাইপোটেনশন, টাকিকার্ডিয়া, কিউটি ব্যবধান, দীর্ঘায়িতকরণ এবং এরিথমিয়া এবং ইলেক্ট্রোলাইট/তরল ভারসাম্য শর্ত (হাইপোক্যালেমিয়া, হাইপোনট্র্যামি)।

ম্যানেজমেন্ট: কোন নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই। প্রর্যাপ্ত অক্সিজেনেশন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে একটি এয়ারওয়ে স্থাপন এবং পরিচালনা করে। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং সক্রিয় কাঠকয়ালের ব্যবহার বিবেচনা করা উচিত। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজটি মুখের ইনজেকশনের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাহিত হওয়া উচিত। সাধারণ লক্ষণমূলক সহায়ক ব্যবস্থাসহ কার্ডিয়াক এবং গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ইসিজি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ ওভারসোজের ক্ষেত্রে, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিও ব্র্যারিয়ারিথিমিয়াস রোগীদের ক্ষেত্রে, কিউটি-ইন্টারভাল দীর্ঘায়িত সহকারি ওষুধ ব্যবহারকারী রোগীদের ক্ষেত্রে বা পরিবর্তিত বিপাকীয় রোগীদের ক্ষেত্রে যেমন: যকৃতের দুর্বলতা।