এসিপাম ট্যাবলেট ৫ মি.গ্রা.

এসিপাম ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট হল ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এস্সি‌টালােপ্রাম অক্সালেট সমৃদ্ধ একটি ট্যাবলেট। প্রধান হতাশাজনক ব্যাধি, প্যানিক ডিসঅর্ডার এবং সামাজিক উদ্বেগে ব্যবহৃত এ ঔষধের প্রতি ট্যাবলেটের মূল্য ৳৫.০০। ১০ ট্যাবলেটের স্ট্রিপ ৳৫০.০০ এবং ৫০ ট্যাবলেট (৫x১০) প্যাক ৳২৫০.০০-এ পাওয়া যায়।

মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ক্রিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি কাজ করে। হিস্টামিন বা এড্রেনার্জিক রিসেপ্টরের সাথে কম প্রতিক্রিয়া থাকায় ঘুমকাতুরে ভাবের ঝুঁকি কম। ২০ মি.গ্রা. ডোজ পর্যন্ত ওসিডি ও সামাজিক উদ্বেগে কার্যকর। ঔষধটি ৩০°C তাপমাত্রার নিচে আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন।

প্রধান ব্যবহার:

• প্রধান ডিপ্রেসিভ এপিসোড
• অ্যাগ্রোফোবিয়া-যুক্ত/বিহীন প্যানিক ডিসঅর্ডার
• সাধারণ ও সামাজিক উদ্বেগ ব্যাধি
• অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার

প্রতিদিন ১০ মি.গ্রা. ডোজ দিয়ে শুরু করে ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্যানিক ডিসঅর্ডারে প্রথম সপ্তাহে ৫ মি.গ্রা. দেওয়া হয়। উন্নতি দেখতে ২-৪ সপ্তাহ লাগতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য ৬ মাস পর্যন্ত চিকিৎসা প্রয়োজন। এমএওআই ওষুধের সাথে ব্যবহার নিষিদ্ধ।

বমি বমি ভাব, শুষ্ক মুখ ও অনিদ্রা সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সেরোটোনিন সিন্ড্রোম বা হাইপোনেট্রেমিয়া বিরল। গর্ভাবস্থায়/স্তন্যদানকালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এস্সি‌টালােপ্রাম অক্সালেট-এর বিকল্প হিসেবে এসিপাম ১০ মি.গ্রা. ব্যবহার করা যেতে পারে।

বয়স্কদের জন্য প্রাথমিক ডোজ দৈনিক ১০ মিগ্রা, সর্বোচ্চ ২০ মিগ্রা পর্যন্ত। কিডনি ও লিভার রোগে ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন। ট্যাবলেট খাবারের সাথে বা ছাড়া গিলে খাওয়া যায়। হতাশার চিকিৎসায় ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহারের পরামর্শ। প্যানিক ডিসঅর্ডারে ৩ মাসে সর্বোচ্চ ফলাফল দেখা যায়।

এসএসআরআই কম সিডেটিভ এবং ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের চেয়ে কম এ্যান্টিমাসকারিনিক এবং কার্ডিওটক্সিক। এসএসআরআই-এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল (মাত্রা সম্পর্কিত অথবা মাঝে মাঝে বমি, বমি বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য), এনােরেক্সিয়া সহ ওজন কমা (রুচি এবং ওজন বৃদ্ধির উল্লেখ রয়েছে), এবং অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যেমন র‍্যাশ, আর্টিকারিয়া, এ্যানজিওইডিমা, এ্যানাফাইলেক্সিস, আর্থালজিয়া, মায়ালজিয়া, এবং আলাে সংবেদনশীলতা; অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে শুষ্ক মুখ, স্নায়ু দুর্বলতা, এ্যাংজাইটি, মাথা ব্যথা, ইনসােমনিয়া, ট্রিমর, ডিজিনেজ, এসথেনিয়া, হেলােসিনেশন, মাথা ঘােরা, কনভালশন, গ্যালাকটোরিয়া, সেক্সুয়াল অকার্যকারিতা, ইউরিনারি রিটেনশন, ঘাম, হাইপােমেনিয়া অথবা মেনিয়া, নড়াচড়ায় সমস্যা, এবং ডিসকাইনেসিয়া, দৃষ্টি সমস্যা।

গর্ভাবস্থা শ্রেণী সি। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যবহারে নবজাতকের ফুসফুসীয় হাইপারটেনশন ঝুঁকি। বুকের দুধে ক্ষরণশীল – শিশুর সুবিধা-ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যবহার করুন।

মৃগী রোগীদের খিঁচুনি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। সুইসাইডাল চিন্তাভাবনা প্রাথমিক চিকিৎসায় বাড়তে পারে। হৃদরোগীদের ইসিজি মনিটরিং প্রয়োজন। রক্তে সোডিয়াম মাত্রা নিয়মিত চেক করুন।

বৃদ্ধ: প্রাথমিক ডোজ ৫ মিগ্রা/দিন। কিডনি রোগ: হালকা-মাঝারিতে ডোজ পরিবর্তন নাই, গুরুতর ক্ষেত্রে সতর্কতা। লিভার রোগ: প্রাথমিক ডোজ অর্ধেক করুন। শিশু: ১৮ বছরের নিচে নিষিদ্ধ।

লক্ষণ: এস্সি‌টালােপ্রামের অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা যাওয়া লক্ষণগুলির মধ্যে প্রধানত কেন্দ্রীয় ন্সায়ুতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত মাথাব্যথা (মাথা ঘোরা, কাঁপুনি এবং আন্দোলন থেকে বিরল ক্ষেত্রে সেরোটোনিন সিন্ড্রোম, খিঁচুনি, এবং কোমা) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেম (বমিবমি ভাব/বমি) এবং ও ভাসকুলার সম্পর্কিত লক্ষণগুলি অন্তর্ভূক্ত থাকে সিস্টেম (হাইপোটেনশন, টাকিকার্ডিয়া, কিউটি ব্যবধান, দীর্ঘায়িতকরণ এবং এরিথমিয়া এবং ইলেক্ট্রোলাইট/তরল ভারসাম্য শর্ত (হাইপোক্যালেমিয়া, হাইপোনট্র্যামি)।

ম্যানেজমেন্ট: কোন নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই। প্রর্যাপ্ত অক্সিজেনেশন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে একটি এয়ারওয়ে স্থাপন এবং পরিচালনা করে। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং সক্রিয় কাঠকয়ালের ব্যবহার বিবেচনা করা উচিত। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজটি মুখের ইনজেকশনের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাহিত হওয়া উচিত। সাধারণ লক্ষণমূলক সহায়ক ব্যবস্থাসহ কার্ডিয়াক এবং গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ইসিজি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ ওভারসোজের ক্ষেত্রে, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিও ব্র্যারিয়ারিথিমিয়াস রোগীদের ক্ষেত্রে, কিউটি-ইন্টারভাল দীর্ঘায়িত সহকারি ওষুধ ব্যবহারকারী রোগীদের ক্ষেত্রে বা পরিবর্তিত বিপাকীয় রোগীদের ক্ষেত্রে যেমন: যকৃতের দুর্বলতা।