এসিফিন আইএম ইঞ্জেকশন ১ গ্রাম/ভায়াল

এসিফিন ইঞ্জেকসন, এসিআই লিমিটেড প্রস্তুতকারক একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক, যার প্রতি ভায়ালে রয়েছে ১ গ্রাম সেফট্রায়াক্সন সোডিয়াম। এই তৃতীয় জেনারেশনের সেফালোস্পোরিন শ্বাসনালী, মূত্রতন্ত্র ও হাড়ের সংক্রমণসহ নানা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে কার্যকর। প্রতি ভায়ালের দাম ৳১৯১.২৯ এ সাশ্রয়ী মূল্যে জটিল সংক্রমণের চিকিৎসা সম্ভব।

এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর গঠনে বাধা দিয়ে কাজ করে। গ্রাম-পজিটিভ ও নেগেটিভ উভয় ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর, বিশেষত বিটা-ল্যাকটামেজ উৎপাদনকারী জীবাণুর ক্ষেত্রে। মাংসপেশী/শিরায় ইনজেকশন এর মাধ্যমে প্রয়োগযোগ্য এ ঔষধ ৩০°সে. নিচে সংরক্ষণ করতে হয়।

প্রধান ব্যবহারের ক্ষেত্র:

• নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ
• মেনিনজাইটিস ও রক্তের সংক্রমণ
• জটিল চর্মরোগ
• গনোরিয়ার প্রতিরোধ
• অপারেশন পরবর্তী সংক্রমণ রোধ

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ১-২ গ্রাম ও শিশুদের জন্য ৫০-৭৫ মিগ্রা/কেজি মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে পেটখারাপ, বমিভাব ও চর্মরোগ উল্লেখযোগ্য। রক্তকণিকা কমে যাওয়া ও লিভার এনজাইম বৃদ্ধির মতো জটিলতা বিরল। সেফট্রায়াক্সন সোডিয়াম এর ৯৫% প্লাজমা প্রোটিনের সাথে যুক্ত থাকে বলে একবার ডোজেই দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব দেখা যায়।

দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে কিডনি-লিভার ফাংশন মনিটরিং জরুরি। গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এসিআই লিমিটেডের ২৫০ মিগ্রা থেকে ২ গ্রাম ভায়ালের বিভিন্ন অপশন রোগীর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা সুবিধা দেয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ ডোজ: দিনে ১-২ গ্রাম IV/IM (এক বা দুই বিভক্ত ডোজে)। শিশুদের জন্য: দৈনিক ৫০-৭৫ মিগ্রা/কেজি। মেনিনজাইটিসে শিশুদের ডোজ: ১০০ মিগ্রা/কেজি/দিন। গনোরিয়া চিকিৎসায় একক ২৫০ মিগ্রা IM ডোজ। অস্ত্রোপচার পূর্বপ্রস্তুতিতে ১ গ্রাম IV। চিকিৎসার মেয়াদ সাধারণত ৪-১৪ দিন, লক্ষণ উপশমের পর অন্তত ২ দিন ব্যবহার প্রয়োজন।

সেফট্রায়াক্সন সাধারনতঃ সুসহনীয়। অল্প কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলোঃ গ্যাষ্ট্রোইন্টেসটাইনাল সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, স্টমাটাইটিস, গ্লসাইটিস; কিউটেনিয়াস প্রতিক্রিয়া যেমন ত্বকের লালচে ভাব, pruritus (চুলকানী), আরটিকেরিয়া, ইডিমা ও ইরাইথেমা মাল্টিফর্ম; হিমাটোলজিক প্রতিক্রিয়া যেমনঃ ইওসিনোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, অ্যানিমিয়া ও নিউট্রোপেনিয়া; যকৃতের প্রতিক্রিয়া যেমন SGOT ও SGPT এর মাত্রা বৃদ্ধি, বিলিরুবনেমিয়া; কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া যেমন, স্নায়ু দূর্বলতা, দ্বিধা গ্রস্থতা, ঘুমের সমস্যা, মাথা ব্যথা, হাইপার অ্যাকটিভিটি, খিঁচুনি, হাইপারটনিয়া এবং ঝিঁমুনী ভাবের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শিরায় ইনজেকশনের কারণে স্থানীয় ফ্লেবাইটিস কদাচিৎ হতে পারে কিন্তু ধীরগতিতে ২-৪ মিনিট ধরে ইনজেকশন প্রয়োগ করলে এই সমস্যা কমে যায়।

গর্ভাবস্থায় নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়, তাই কঠোর প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করার পরামর্শ। স্তন্যদানকালে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন – ঔষধ স্বল্প পরিমাণে বুকের দুধে যেতে পারে।

অ্যানাফাইল্যাকটিক শক প্রতিরোধে এপিনেফ্রিন প্রস্তুত রাখুন। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে রক্তপরীক্ষা ও লিভার ফাংশন মনিটরিং প্রয়োজন। পিত্তথলিতে স্লাজ গঠনের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসককে জানান।

শিশু (১ মাসের ঊর্ধ্বে) ব্যবহারযোগ্য, কিন্তু নবজাতক নয়। বৃদ্ধ ও কিডনি/লিভার রোগীদের ডোজ সামঞ্জস্য প্রয়োজন হতে পারে। ডায়ালিসিস রোগীদের জন্য বিশেষ ডোজ নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

কোন নির্দিষ্ট এন্টিডট নাই। মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে ।