অ্যাকটিল্যাক ওরাল সল্যুসন ৩.৩৫ গ্রাম/৫ মি.লি.

অ্যাকটিল্যাক ওরাল সল্যুসন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রণীত ল্যাকটুলোজ (৩.৩৫ গ্রাম/৫ মি.লি.) ভিত্তিক একটি অন্ত্রীয় সমাধান। এই ওরাল সল্যুসন প্রধানত কোষ্ঠকাঠিণ্য ও লিভারজনিত মস্তিষ্ক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ৳১৪০.০০ মূল্যের এই ঔষধটি অসমোটিক ল্যাক্সাটিভ হিসেবে কাজ করে।

প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও ব্যায়াম অকার্যকর হলে অ্যাকটিল্যাক ব্যবহার করা হয়। এটি কোলনে গাঁজন প্রক্রিয়ায় অম্ল উৎপাদন করে মল নরম করে। এন্টিবায়োটিক-প্ররোচিত অন্ত্রীয় সমস্যা, ডাইভারটিকুলোসিস ও হাইপারঅ্যামোনেমিয়াতেও কার্যকর। বয়স ও রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ১-৩০ চামচ পর্যন্ত ডোজ নির্ধারিত হয়।

প্রাথমিক ব্যবহারে পেটফাঁপা ও পেটব্যথা দেখা দিতে পারে। অতিমাত্রায় সেবনে ডায়রিয়া ও ইলেক্ট্রোলাইট imbalance হয়। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহারযোগ্য এই ঔষধটি শিশুদের নাগালের বাইরে শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।

অন্যান্য ল্যাক্সাটিভের চেয়ে অ্যাকটিল্যাকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। অ্যাকটিল্যাক ওরাল সল্যুসন খাওয়ার নিয়ম মেনে চললে হৃদযন্ত্রের ওষুধের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন এড়ানো সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের পূর্বে ফার্মাসিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রাপ্তবয়স্কদের ৩-৬ চামচ (শুরুতে), শিশুদের ১-২ চামচ দৈনিক। লিভার রোগে ১৮-৩০ চামচ পর্যন্ত প্রয়োগ করা হয়। চিকিৎসার মেয়াদ রোগের ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সকালে খালি পেটে বা দুধের সাথে সেব্য।

চিকিৎসার শুরুতে পেটফাঁপা, আন্ত্রিক সংকোচন এবং উদরীয় অস্বস্তি দেখা দিতে পারে যা সেবনমাত্রা হ্রাসের মাধ্যমে দ্রুত অপসৃত হয়। মাত্রাধিক্যে ডায়রিয়া দেখা দেয়। অপব্যবহারে, ইলেক্ট্রোলাইট-এর ঘাটতি দেখা দেয় (প্রাথমিক ভাবে পটাশিয়াম)।

গর্ভাবস্থায় ইউএসএফডিএ বিভাগ বি। স্তন্যদানকালে নিরাপদ, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন।

ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ নিয়মিত পরীক্ষা করুন। লিভার রোগে উচ্চমাত্রায় ব্যবহারে ইলেক্ট্রোলাইট মনিটরিং আবশ্যক।

শিশুদের বয়সানুযায়ী মাত্রা কমানো প্রয়োজন। কিডনি রোগে বিশেষ নিয়ম নেই, কিন্তু লিভার রোগে মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়।

There have been no reports of accidental overdosage. In the event of acute overdosage it is expected that diarrhoea and abdominal cramps would be the major symptoms.