মোটিগাট পেডিয়েট্রিক ড্রপ ৫ মি.গ্রা./মি.লি.

মোটিগাট পেডিয়েট্রিক ড্রপ হলো ডমপেরিডন ম্যালিয়েট ৫ মি.গ্রা./মি.লি. সমৃদ্ধ একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ঔষধ। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তুতকৃত এই ড্রপ পাকস্থলীর জটিলতা, বমিবমি ভাব এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সে ব্যবহৃত হয়। প্রতি ইউনিটের মূল্য ৳২৫.০৮।

এই ঔষধ পাকস্থলীর ডোপামিন রিসেপ্টর ব্লক করে খাদ্য পরিপাক ত্বরান্বিত করে। এটি বুক জ্বলা, পেট ফাঁপা এবং মাইগ্রেনজনিত বমিতে কার্যকর। মস্তিষ্কে কম প্রবেশ করায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম দেখা যায়।

খাওয়ার নিয়ম: প্রাপ্তবয়স্করা ১০-২০ মি.গ্রা. ৬-৮ ঘণ্টা পরপর খাবারের আগে সেবন করবে। শিশুদের ওজন অনুযায়ী ০.২-০.৮ মি.গ্রা./কি.গ্রা. ডোজ দেওয়া হয়। তীব্র বমির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ ব্যবহার করুন।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-এর মধ্যে মুখ শুষ্কতা (১.৯%), মাথাব্যথা (১.২%) এবং পাতলা পায়খানা উল্লেখযোগ্য। বিরলক্ষেত্রে স্তনবৃদ্ধি বা প্রোল্যাকটিন হরমোন বৃদ্ধি পেতে পারে। ওপিওয়েড ব্যথানাশকের সাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

৩০°C এর নিচে আলো ও আর্দ্রতা থেকে সংরক্ষণ করুন। গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ, তবে স্তন্যদানকালে নিরাপদ। মোটিগাট ট্যাবলেট বা অন্যান্য বিকল্প জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বড়দের জন্য ১০-২০ মিগ্রা প্রতিদিন ৩-৪ বার (খাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট পূর্বে)। শিশুদের ০.২-০.৪ মিগ্রা/কেজি প্রতি ডোজ। সর্বোচ্চ চিকিৎসা মেয়াদ ১২ সপ্তাহ। যকৃতের রোগে ডোজ কমাতে হবে। পেডিয়াট্রিক ড্রপস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডমপেরিডান রক্তে প্রােল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে (১.৩%)। এর ফলে দুগ্ধ নিঃসরণ এবং স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে, ক্ষতভাব দেখা দিতে পারে। ডমপেরিডােন সেবনের ফলে মুখের শুষ্কতা (১.৯%), পিপাসা, মাথাব্যথা (১.২%), নার্ভাসভাব, ঝিমুনী (০.৪%), পাতলা পায়খানা (০.২%), ত্বকের লালচেভাব ও চুলকানী (০.১%) হতে পারে। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এক্সটা-পিরামিডাল রিয়্যাকশন ০.০৫% রােগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

গর্ভাবস্থায় নিরাপত্তা অপ্রমাণিত। প্রাণী গবেষণায় ক্ষতি না থাকলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার নিষেধ। স্তন্যদানকালে স্বল্প মাত্রায় নিঃসৃত হয় – শিশুর ক্ষতি অসম্ভাব্য।

১ বছরের নিচের শিশুতে স্নায়বিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বেশি। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে প্রোল্যাকটিন মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ইসিজি মনিটরিং প্রয়োজন হতে পারে।

শিশু: ০.৪-০.৮ মিলি/কেজি ড্রপস (১০ কেজিতে ৪-৮ ড্রপ)। কিডনি রোগ: ক্রিয়েটিনিন >৬ মিগ্রা/ডিএল হলে ডোজ কমান। লিভার রোগ: প্রাথমিক ডোজ ১০ মিগ্রা দৈনিক ১-২ বার।

মাত্রাধিক্যের কোন ঘটনা জানা যায়নি।