মোটিলেক্স ওরাল সাসপেনশন ৫ মিগ্রা/৫ মিলি

মোটিলেক্স ওরাল সাসপেনশন হল ডমপেরিডন ম্যালিয়েট (৫ মিগ্রা/৫ মিলি) সমৃদ্ধ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ঔষধ, উৎপাদনকারী টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। মূল্য ৳৪০.০০ প্রতি ইউনিটে। এটি বদহজম, বমিভাব, গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্সের লক্ষণ কমাতে পাকস্থলীর চলন বৃদ্ধি করে। এই ওরাল সাসপেনশন খাদ্যনালীর স্ফিংক্টার চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রধান ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে পেটের ফাঁপাভাব, বুক জ্বালা ও মাইগ্রেনজনিত বমি। প্রাপ্তবয়স্করা খাবারের ১৫–৩০ মিনিট পূর্বে ১০–২০ মিলি (৬–৮ ঘণ্টা অন্তর) সেবন করবেন। শিশুর ওজন অনুযায়ী ডোজ (০.২–০.৮ মিগ্রা/কেজি)। আর্দ্রতা ও আলো থেকে ৩০°C তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে মুখ শুষ্কতা, মাথাব্যথা ও পাতলা পায়খানা উল্লেখযোগ্য। প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধিতে স্তনে ব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ, তবে স্তন্যদানে নিরাপদ। বিকল্প হিসেবে ডমপেরিডন ম্যালিয়েট জাতীয় ঔষধ বিবেচনা করুন।

প্রাপ্তবয়স্ক: ১০-২০ মি.গ্রা. দিনে ৩-৪ বার, খাবারের ১৫-৩০ মিনিট আগে। শিশুর ওজন অনুযায়ী ০.২-০.৮ মি.গ্রা./কেজি। যকৃত বা কিডনি রোগে ডোজ কমাতে হবে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা মেয়াদ ১২ সপ্তাহ।

ডমপেরিডান রক্তে প্রােল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে (১.৩%)। এর ফলে দুগ্ধ নিঃসরণ এবং স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে, ক্ষতভাব দেখা দিতে পারে। ডমপেরিডােন সেবনের ফলে মুখের শুষ্কতা (১.৯%), পিপাসা, মাথাব্যথা (১.২%), নার্ভাসভাব, ঝিমুনী (০.৪%), পাতলা পায়খানা (০.২%), ত্বকের লালচেভাব ও চুলকানী (০.১%) হতে পারে। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এক্সটা-পিরামিডাল রিয়্যাকশন ০.০৫% রােগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

গর্ভাবস্থায় নিরাপত্তা অপ্রমাণিত। স্তন্যদানে নিরাপদ, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধি করে দুগ্ধনিঃসরণ বাড়াতে পারে।

১ বছরের কম বয়সী শিশুতে এক্সট্রা-পিরামিডাল লক্ষণ এড়াতে সতর্কতা। লিভার রোগে রক্তে ঔষধের মাত্রা মনিটর করুন। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ইসিজি পরীক্ষা প্রয়োজন।

শিশু: ০.৪ মি.গ্রা./কেজি পর্যন্ত ডোজ। বৃদ্ধ: যকৃত/কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করুন। লিভার রোগে ডোজ কমিয়ে দিনে ১-২ বার। কিডনি ফেইলিউরে ডোজ ব্যবধান বাড়ান।

মাত্রাধিক্যের কোন ঘটনা জানা যায়নি।