মোটিলিয়াম ওরাল সাসপেনশন ৫ মিলিগ্রাম/৫ মিলিলিটার

মোটিলিয়াম ওরাল সাসপেনশন হল ডমপেরিডন ম্যালিয়েট (৫ মিগ্রা/৫ মিলি) সমৃদ্ধ একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ঔষধ, যা ইথিক্যাল ড্রাগস লিমিটেড প্রস্তুত করে। ৳৩৫.০০ মূল্যের এই ওরাল সাসপেনশন পেটের গ্যাস, বমিভাব, এবং হজমজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি ডোপামিন রিসেপ্টর ব্লক করে পাকস্থলীর গতি বৃদ্ধি করে।

এই ঔষধ ডিসপেপসিয়া, গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স, এবং মাইগ্রেনজনিত বমির চিকিৎসায় কার্যকর। পারকিনসন্স রোগীদের ডোপামিন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতেও ব্যবহৃত হয়। এক্স-রে পরীক্ষায় বেরিয়াম চলাচল ত্বরান্বিত করতে সহায়ক।

খাওয়ার নিয়ম:

• প্রাপ্তবয়স্ক: ১০-২০ মিলি সাসপেনশন খাবারের ১৫-৩০ মিনিট পূর্বে দিনে ৩-৪ বার।
• শিশু: ওজন অনুযায়ী ০.২-০.৮ মিগ্রা/কেজি, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত।

৩০°C নিচে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে মুখ শুষ্কতা (১.৯%), মাথাব্যথা (১.২%) এবং প্রল্যাকটিন বৃদ্ধি হতে পারে। ব্রোমোক্রিপটিন বা MAO ইনহিবিটরসের সাথে ব্যবহারে সতর্ক হোন। অতি মাত্রার ঘটনা বিরল।

বিকল্প হিসেবে ডমপেরিডন ম্যালিয়েট জেনেরিকস দেখুন। মোটিলিয়ামের দ্রুত কার্যকারিতা এটি বাংলাদেশে হজম সংক্রান্ত সমস্যায় জনপ্রিয় করে তোলে।

বয়স্কঃ ১০-২০ মিলিগ্রাম (২-৪ চামচ সাসপেনশন) দিনে ৩-৪ বার, খাওয়ার আগে। শিশুঃ ওজন প্রতি কেজিতে ০.২-০.৪ মিলিগ্রাম, দিনে ৩ বার। যকৃত/কিডনি রোগে ডোজ কমাতে হবে। সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ ব্যবহার্য।

ডমপেরিডান রক্তে প্রােল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে (১.৩%)। এর ফলে দুগ্ধ নিঃসরণ এবং স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে, ক্ষতভাব দেখা দিতে পারে। ডমপেরিডােন সেবনের ফলে মুখের শুষ্কতা (১.৯%), পিপাসা, মাথাব্যথা (১.২%), নার্ভাসভাব, ঝিমুনী (০.৪%), পাতলা পায়খানা (০.২%), ত্বকের লালচেভাব ও চুলকানী (০.১%) হতে পারে। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এক্সটা-পিরামিডাল রিয়্যাকশন ০.০৫% রােগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

গর্ভাবস্থায় নিরাপত্তা অনিশ্চিত। স্তন্যদানের সময় সতর্কতাসহ ব্যবহার করা যায়, কারণ দুধে ক্ষুদ্র পরিমাণ নিঃসৃত হয়।

১ বছরের কম বয়সী শিশুতে স্নায়বিক ঝুঁকি বেশি। লিভার রোগে ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে প্রোল্যাকটিন মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ইথিক্যাল ড্রাগস দ্বারা উৎপাদিত এই সাসপেনশন ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।

শিশুঃ ১ বছরের নিচে ব্যবহার এড়ানো উচিত। বৃদ্ধঃ কিডনি কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন। লিভার রোগীঃ ডোজ ১০ মিলিগ্রামে সীমিত করুন। কিডনি অকার্যকারিতায় ডোজ ব্যবধান বাড়ান।

মাত্রাধিক্যের কোন ঘটনা জানা যায়নি।