মোভিফাস্ট ওরাল সল্যুশন (১৩.১২৫ গ্রাম+৩৫০.৭ মি.গ্রা.+১৭৮.৫ মি.গ্রা.+৪৬.৬ মি.গ্রা.)/২৫ মিলি

মোভিফাস্ট, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রস্তুতকৃত, একটি অসমোটিক ল্যাক্সেটিভ যাতে রয়েছে পলিইথিলিন গ্লাইকল ৩৩৫০ + ইলেক্ট্রোলাইটস। এই ওরাল সল্যুশন (১৩.১২৫ গ্রাম+৩৫০.৭ মি.গ্রা.+১৭৮.৫ মি.গ্রা.+৪৬.৬ মি.গ্রা.)/২৫ মিলি প্রাপ্তবয়স্ক ও ২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও ফিকাল ইম্পেকশন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দাম ৳১৬০.০০ প্রতি ইউনিট, সংরক্ষণ করুন ৩০°C এর নিচে আলো থেকে দূরে।

ওষুধটি অসমোটিক ক্রিয়ার মাধ্যমে মলের পরিমাণ বাড়ায়, মল নরম করে ও মলত্যাগে সহায়তা করে। ইলেক্ট্রোলাইট সাম্যতা পানিশূন্যতা রোধ করে। গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার নিরাপদ। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ১০০ মিলি পানিতে ২৫ মিলি দ্রবণ দৈনিক একবার। ফিকাল ইম্পেকশনে ৮ ডোজ (২৫ মিলি) দৈনিক ৩ দিন পর্যন্ত।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, পায়ুপথে অস্বস্তি। অতিরিক্ত ডোজে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। এন্টিএপিলেপটিকসের সাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। বিকল্প হিসাবে অন্যান্য ম্যাক্রোগল ফর্মুলেশন বিবেচনা করুন।

প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২+ বছর: কোষ্ঠকাঠিন্যে ২৫ মিলি ওরাল সলিউশন দৈনিক ১ বার। ফিকাল ইম্পেকশনে ৮ ডোজ (প্রতি ৬ ঘণ্টায়)। কিডনি রোগীদের ডোজ সমান। ১২৫ মিলি পানিতে মিশিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করুন। চিকিৎসার মেয়াদ ৩ দিনের বেশি নয়।

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্টকাঠিন্যের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়রিয়া অথবা অতিরিক্ত নরম মল হতে পারে, যা মাত্রা কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফিকাল ইম্পেকশনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়রিয়া এবডোমিনাল ডিসটেনশন, পায়ুপথের অস্বস্তি এবং বমি হতে পারে। ব্যাবহার মাত্রা কমিয়ে আনলে বমি কমে আসবে।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানে নিরাপদ। ম্যাক্রোগল রক্তে মিশে না। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন।

হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ২ স্যাসেটের বেশি নয়। ফ্লুইড জমা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বন্ধ করুন। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে আসক্তি হতে পারে।

বাচ্চা (২+ বছর): ডোজ কমিয়ে দিন। বৃদ্ধ ও কিডনি রোগীদের বিশেষ ডোজ পরিবর্তন লাগে না। লিভার সমস্যায় সতর্কতা।

ডায়রিয়া বা বমি দ্বারা অতিরিক্ত তরল হ্রাস পেলে ইলেকট্রোলাইটের পূরণ দ্বারা তা দূর করতে হবে।