মক্সাক্লেভ পাউডার ফর সাসপেনশন ১২৫ মি.গ্রা. + ৩১.২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি.

মক্সাক্লেভ হলো এমোক্সিসিলিন ও ক্লাভুলানিক এসিড সমৃদ্ধ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক, যা উৎপাদন করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। এই সাসপেনশন পাউডার (১২৫ মি.গ্রা.+৩১.২৫ মি.গ্রা.)/৫ মি.লি. শ্বাসনালী, মূত্রতন্ত্র, চর্ম ও অস্থির সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়। দাম ৳২২০.০০ বিশিষ্ট এই ঔষধ স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসায় কার্যকরী।

এমোক্সিসিলিন ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর গঠন রোধ করে, আর ক্লাভুলানিক এসিড এনজাইমের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। সাইনুসাইটিস, নিউমোনিয়া, বা মূত্রনালীর ইনফেকশনে ডোজ বয়স ও সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী নির্ধারণ করুন। রেকনস্টিটিউটেড সাসপেনশন ফ্রিজে রাখুন ও ৭ দিনের মধ্যে ব্যবহার করুন।

ডোজ নির্দেশনা: প্রাপ্তবয়স্কদের ট্যাবলেট (৬২৫ মি.গ্রা.–১ গ্রাম), শিশুদের ওজন অনুসারে সাসপেনশন। তীব্র সংক্রমণে উচ্চ মাত্রা প্রয়োগ হয়। ১৪ দিনের বেশি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন। রক্তজমাট ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। বিকল্প হিসেবে এমোক্সিসিলিন + ক্লাভুলানিক এসিড জেনেরিক্স বিবেচনা করুন। সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করে antibiotic resistance রোধ করুন।

প্রাপ্তবয়স্ক: ৬২৫ মিগ্রা ট্যাবলেট ১২ ঘণ্টা অন্তর। শিশু (১-৬ বছর): ৫ মিলি সাসপেনশন ৮ ঘণ্টায়। নবজাতক: প্রতি কেজিতে ৩০ মিগ্রা/দিন। কিডনি রোগে ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ১০-৩০ mL/min হলে ডোজ ৫০% কমাবেন। খাবারের সাথে সেবনে পাকস্থলীর জ্বালা কমে। চিকিৎসার মেয়াদ সাধারণত ৫-১৪ দিন।

এমোক্সিসিলিন এককভাবে সেবন করলে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, কো-এমোক্সিক্লাভ সেবনে সাধারণত তা দেখা যায় না এবং দেখা গেলে সেগুলো খুবই মৃদু ধরণের। ডায়রিয়া, সিউডোমেমব্রেনাস কোলাইটিস, অপাচ্যতা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ক্যানডিডিয়াল সংক্রমণ দেখা যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শুধু প্রয়োজন হলে ব্যবহার করুন (বিভাগ B)। স্তন্যদানকালে সতর্কতা: অল্প পরিমাণে দুধে যেতে পারে।

লিভার ফাংশন পরীক্ষা করুন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে। পানিশূন্যতা এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ডায়রিয়া দেখা দিলে ওষুধ বন্ধ করুন।

বৃদ্ধরা কিডনি সমস্যায় মাত্রা কমাবেন। শিশুদের ওজনভিত্তিক ডোজ দিন। কিডনি অকার্যকারিতায় ডোজ ব্যবধান বাড়ান। লিভার রোগে সতর্কতাসহ ব্যবহার করুন।

কো-অ্যামোক্সিক্লাভের মাত্রাধিক্যের সমস্যা সাধারণত ঘটে না। কখনও মাত্রাধিক্য ঘটলে উপসর্গ অনুসারে চিকিৎসা করতে হবে। কো-অ্যামোক্সিক্লাভ রক্তপ্রবাহ থেকে হিমোডায়ালাইসিসের মাধ্যমে অপসারণ করা যায়।