কন্টেন্টে যান
মক্সিব্যাক আইভি ইনফিউশন - ওষুধের ছবি

মক্সিব্যাক আইভি ইনফিউশন ৪০০ মি.গ্রা./২৫০ মি.লি.

জেনেরিক নাম:

ডোসেজ ফর্মস:

ওষুধের শ্রেণী:

প্রস্তুতকারক কোম্পানি:

সংরক্ষণ: ২৫°সে. তাপমাত্রার নিচে আলো থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। অতিরিক্ত গরম ও হিমায়ন এড়িয়ে চলুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

অ্যান্টিবায়োটিক

রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যবহার করবেন না

মক্সিব্যাক আইভি ইনফিউশন দাম

প্রতি পিস

৳৩৫০

দ্রষ্টব্য: মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

মক্সিব্যাক আইভি ইনফিউশন এর কাজ কি?

মক্সিব্যাক হলো পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রস্তুতকৃত একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন। এতে উপস্থিত মক্সিফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড (৪০০ মি.গ্রা./২৫০ মি.লি.) প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে কার্যকর। প্রতি ইউনিট ৳৩৫০.00 দামে পাওয়া এই IV ইনফিউশন ২৫°C তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করতে হয়।

শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ত্বকের রোগ ও পেটের জটিলতায় ব্যবহৃত মক্সিব্যাক ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ replication বন্ধ করে কাজ করে। দৈনিক একবার ৪০০ মি.গ্রা. ডোজ চিকিৎসাকে সহজ করে। নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস ও কোষপ্রদাহে এর কার্যকারিতা প্রমাণিত।

প্রধান উপকারিতাসমূহ:

  • অ্যাকিউট ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস (১০ দিন)
  • কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (৭-১৪ দিন)
  • জটিল ত্বকের সংক্রমণ (৭-২১ দিন)

এন্টাসিড, ওয়ারফেরিন ও NSAIDs এর সাথে প্রতিক্রিয়া সম্ভব। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার (<১%) মধ্যে বমি ও মাথাব্যথা উল্লেখযোগ্য। QT interval বৃদ্ধির ঝুঁকির কারণে এন্টি-অ্যারিথমিক ওষুধ বর্জনীয়। গর্ভাবস্থায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন।

এই IV ইনফিউশন প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রয়োগ করুন। লক্ষণ উন্নত হলেও কোর্স পূর্ণ করতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণ আবশ্যক।

মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০০ মিগ্রা দৈনিক ১ বার শিরাপথে। সাইনুসাইটিস: ১০ দিন, ব্রঙ্কাইটিস: ৫ দিন, নিউমোনিয়া: ৭-১৪ দিন। কিডনি রোগে ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই। ইনফিউশন ৬০ মিনিটের মধ্যে ধীরে ধীরে দিতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রা এড়াতে চিকিৎসার সর্বনিম্ন সময় বজায় রাখুন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মক্সিফ্লক্সাসিন (মুখে সেব্য বা শিরাপথে ব্যবহার অথবা একই সাথে প্রয়োগের ক্ষেত্রে) চিকিৎসায় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার (১%) মধ্যে রয়েছে মাথাধরা, বমি, ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য, পেট ব্যথা, ঝিমুনিভাব এবং নির্ঘুম। কিছু ক্ষেত্রে (০.১ থেকে <১%) রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকার অভাব, বুক ধড়ফড় করা, হৃদ স্পন্দনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দনের হ্রাস, মাথা ঘোরা, টিনিটাস (কানের মধ্যে শব্দ হওয়া যা অন্যেরাও শুনতে পায়), মুখ শুষ্ক হওয়া, পাকস্থলী প্রদাহ, ইডিমা, অসুস্থতাবোধ, রক্তে গ্লুকোজের আধিক্য, ক্ষুধামন্দা, রক্তে লিপিডের আধিক্য, রক্তে গ্লুকোজের স্বল্পতা, পানি স্বল্পতা, পিঠে ব্যথা, সন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান

গর্ভাবস্থায় ক্যাটাগরি-সি: প্রাণী গবেষণায় ভ্রূণ ক্ষতি দেখা গেছে। মানবগর্ভে ঝুঁকি অজানা। স্তন্যদানকালে ব্যবহার না করার পরামর্শ। অত্যন্ত প্রয়োজনে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করুন।

সতর্কতা ও সতর্কীকরণ

৬০ ঊর্ধ্ব রোগীদের টেন্ডন ইনজুরি ঝুঁকি বেশি। মৃগী রোগে সতর্ক থাকুন – খিঁচুনি সম্ভাবনা। ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ইনফিউশন সাইটে ফোলা বা ব্যথা হলে অবিলম্বে রিপোর্ট করুন। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে লিভার ফাংশন পরীক্ষা করুন।

বিশেষ জনগোষ্ঠীতে ব্যবহার

শিশু: ১৮ বছরের নিচে অনুমোদিত নয়। বয়স্ক: টেন্ডন সমস্যা ও কিডনি জটিলতা নিবিড় মনিটরিং প্রয়োজন। কিডনি রোগ: ডোজ সামঞ্জস্য অপ্রয়োজনী। লিভার রোগ: গুরুতর সিরোসিসে সতর্কতা।

মক্সিব্যাক আইভি ইনফিউশন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

⚠️ ডিসক্লেইমার

আমরা মেডেক্সলিতে নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এই তথ্য কেবলমাত্র জ্ঞানের জন্য, কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের তথ্য বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইন্টারনেট, পাবলিক সোর্স এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়; সেই কারণে কিছু ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য কোনো আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমাদের লক্ষ্য আপনাকে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, ডাক্তারের ভূমিকা পালন করা নয়।

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা - জেনেরিক নাম, ব্র্যান্ড, ডোজ ফর্ম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভিত্তিতে