মক্সিব্যাক ট্যাবলেট ৪০০ মিলিগ্রাম

মক্সিব্যাক (মক্সিফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড ৪০০ মি.গ্রা.) পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট। প্রতি ট্যাবলেটের দাম ৳৭০.০০। শ্বাসতন্ত্র, ত্বক ও উদরীয় সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ঔষধের ১০ ট্যাবলেটের স্ট্রিপের মূল্য ৳৭০০.০০।

৪র্থ প্রজন্মের ফ্লোরোকুইনোলন শ্রেণীর এই ঔষধ ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ জাইরেজ এনজাইমকে বাধা দিয়ে কাজ করে। নিউমোনিয়া, সাইনুসাইটিস এবং জটিল ত্বক সংক্রমণে ৭-২১ দিনের কোর্সে সেবন করতে হয়। ট্যাবলেট ফর্মুলেশনে এটি সহজে গ্রহণযোগ্য।

সেবন বিধি:

• তীব্র সাইনুসাইটিস: দিনে ১ ট্যাবলেট × ৭-১০ দিন
• জটিল ত্বক সংক্রমণ: ১ ট্যাবলেট × ৭-২১ দিন
• পেলভিক প্রদাহ: ১৪ দিন পর্যন্ত ব্যবহার

এন্টাসিড বা আয়রন সাপ্লিমেন্টের সাথে অন্তত ৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। ওয়ারফারিন ব্যবহারকারীদের রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ৩০% রোগীর মধ্যে বমি বমি ভাব বা মাথাব্যথা দেখা দেয়। আলো ও শিশুদের নাগালের বাইরে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে এড়িয়ে চলুন। জরুরি ওভারডোজের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মক্সিব্যাক এর বিকল্প প্রয়োজন হলে মক্সিফ্লক্সাসিন জেনেরিক সম্পর্কে জানুন।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৪০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট একবার সেব্য। তীব্র সাইনুসাইটিসে ৭-১০ দিন, ত্বকের সংক্রমণে ৭-২১ দিন পর্যন্ত চিকিৎসা продолжи্য। কিডনি বা লিভার রোগীদের মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। খালি পেটে বা ভরা পেটে যেকোনো সময় সেবন করা যায় তবে আয়রন/জিংক সমৃদ্ধ ওষুধ বা এন্টাসিড থেকে ২ ঘন্টা দূরে রাখুন।

মক্সিফ্লক্সাসিনের সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ হলো বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা এবং ঝিমুনী।

ইউএস এফডিএ প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি সি। প্রাণী গবেষণায় ভ্রূণের ক্ষতি দেখা গেছে। মানবদেহে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন। স্তন্যদুগ্ধে নিঃসৃত হওয়ায় শিশুর জটিলতা সম্ভাবনা আছে।

সূর্যালোক এড়িয়ে চলুন – ফটো-টক্সিসিটি রিস্ক আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তশর্করা নিয়মিত মনিটর করুন। মায়াসথেনিয়া গ্রাভিস থাকলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। স্নায়বিক লক্ষণ (মাথা ঘোরা, খিঁচুনি) দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বৃদ্ধদের কিডনি কার্যকারিতা পরীক্ষা করে ব্যবহার করুন। শিশুদের হাড় ও জয়েন্টের বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ১৮-এর নিচে ব্যবহার নিষেধ। কিডনি/লিভার ডিজিজে মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না।