কন্টেন্টে যান

ন্যাপাক্সিন প্লাস ট্যাবলেট (ডিলেইড রিলিজ) ৩৭৫ মি.গ্রা. + ২০ মি.গ্রা.

জেনেরিক নাম:

ডোসেজ ফর্মস:

ওষুধের শ্রেণী:

প্রস্তুতকারক কোম্পানি:

সংরক্ষণ: ৩০°সে. এর নিচে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

ন্যাপাক্সিন প্লাস ট্যাবলেট (ডিলেইড রিলিজ) দাম

প্রতি পিস

৳১৩

প্রতি স্ট্রিপ

৳১৩০

প্রতি প্যাক

৳৩৯০

প্যাক সাইজ

৩ x ১০

দ্রষ্টব্য: মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

ন্যাপাক্সিন প্লাস ট্যাবলেট (ডিলেইড রিলিজ) এর কাজ কি?

নাপ্যাক্সিন প্লাস ট্যাবলেট (ডিলেড রিলিজ) হল ন্যাপ্রোক্সেন সোডিয়াম (৩৭৫ মিগ্রা) ও ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেসিয়াম (২০ মিগ্রা) সমৃদ্ধ একটি কম্বিনেশন ঔষধ। ফার্মিক ল্যাবরেটরিস লিমিটেড প্রস্তুতকৃত এই ডিলেড রিলিজ ট্যাবলেট-এর ইউনিট মূল্য ৳১৩.০০ (স্ট্রিপ: ৳১৩০.০০, ৩x১০ প্যাক: ৳৩৯০.০০)।

প্রধানত অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এনএসএআইডি জনিত গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধের সাথে সাথে ব্যথা-প্রদাহ কমাতে সহায়ক। ঔষধটির বিশেষ ফর্মুলেশনে প্রথমে পাকস্থলীতে ইসোমিপ্রাজল নিঃসৃত হয়, পরে ক্ষুদ্রান্ত্রে ন্যাপ্রোক্সেন শোষিত হয়।

ডোজ নির্ধারণ:

  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৩৭৫/২০ বা ৫০০/২০ মিগ্রা – দিনে ২ বার
  • ১২+ বছর (ওজন >৫০ কেজি): একই ডোজ
  • ৩০-৫০ কেজি: ৩৭৫/২০ মিগ্রা দিনে ২ বার

সতর্কতা: ওয়ারফেরিনের সাথে ব্যবহারে রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থার শেষ ত্রৈমাসিকে এড়িয়ে চলুন। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রাইটিস, বমিভাব ও পেটব্যথা। ন্যাপ্রোক্সেন+ইসোমিপ্রাজল সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্যের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সংরক্ষণ: ৩০°C এর নিচে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঔষধের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ব্যবহার সম্পন্ন করুন।

মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: ৩৭৫/২০ মিগ্রা বা ৫০০/২০ মিগ্রা ট্যাবলেট দিনে দুইবার। ১২+ বছর বয়সী ও ৫০ কেজির ওপরের রোগীদের জন্য একই মাত্রা। ৩০-৫০ কেজি ওজনের কিশোরদের জন্য ৩৭৫/২০ মিগ্রা দিনে দুইবার। কিডনি বা লিভার সমস্যায় মাত্রা সমন্বয় প্রয়োজন। খাবারের সাথে বা খালি পেটে সেব্য। চিকিৎসার সময়কাল উপসর্গ ও রোগীর প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারনত এই প্রিপারেশনটি সুসহনীয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যে সকল পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় (>৫%) তা হলাে- ইরােসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস, ডিসপেপসিয়া, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাতলা পায়খানা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেটের উপরের অংশে ব্যথা, বমিবমি ভাব ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান

গর্ভাবস্থা ক্যাটাগরি সি। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যবহার করলে ভ্রূণের হৃৎপিণ্ডের সমস্যা হতে পারে। স্তন্যদানকালে নিষিদ্ধ – ন্যাপ্রোক্সেন দুধে নিষ্কাশিত হয়।

সতর্কতা ও সতর্কীকরণ

হৃদরোগী, ডায়াবেটিক বা ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে MI/স্ট্রোক ঝুঁকি মূল্যায়ন করুন। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে রেনাল ফাংশন, লিভার এনজাইম নিয়মিত মনিটর করুন। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাতের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা বন্ধ করুন।

বিশেষ জনগোষ্ঠীতে ব্যবহার

বয়স্ক: মুক্ত ন্যাপ্রোক্সেনের মাত্রা বাড়তে পারে – সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রা ব্যবহার করুন। কিডনি রোগ: CrCl <30 mL/min এ নিষিদ্ধ। লিভার রোগ: Child-Pugh C তে নিষেধ। শিশু: <১২ বছর বয়সে নিরাপত্তা তথ্য সীমিত।

অতিরিক্ত মাত্রার প্রভাব

এই ট্যাবলেটের মাত্রাধিক্যের কোন ক্লিনিক্যাল ডেটা পাওয়া যায় না।

ন্যাপ্রােক্সেনের মাত্রাধিক্য: লক্ষণগুলাে হল- অবসন্নতা, ঘুমঘুম ভাব, পেট ব্যাথা, পেটে অস্বস্থি, বুকজ্বালা, বদহজম, বমিবমি ভাব, সাময়িকভাবে লিভার ক্রিয়ার পরিবর্তন, হাইপােপ্রােথ্রমবিনেমিয়া, রেনাল সমস্যা, মেটাবলিক এসিডােসিস, শ্বাসকষ্ট, বমি হওয়া ইত্যাদি।

ইসােমিপ্রাজলের মাত্রাধিক্য: লক্ষণগুলাে হল- মােটর কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা, কাঁপুনি এবং ইন্টারমিটেন্ট ক্লোনিক কনভালশন ইত্যাদি।

ন্যাপাক্সিন প্লাস ট্যাবলেট (ডিলেইড রিলিজ) নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

⚠️ ডিসক্লেইমার

আমরা মেডেক্সলিতে নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এই তথ্য কেবলমাত্র জ্ঞানের জন্য, কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের তথ্য বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, ইন্টারনেট, পাবলিক সোর্স এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়; সেই কারণে কিছু ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য কোনো আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমাদের লক্ষ্য আপনাকে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, ডাক্তারের ভূমিকা পালন করা নয়।

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা - জেনেরিক নাম, ব্র্যান্ড, ডোজ ফর্ম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভিত্তিতে